আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: চলতি মাসেই জেলায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা দুই, ধর্ষন সহ যৌন হেনস্থা চার, বধূ নির্যাতন তিন এবং তার মধ্যে দুই জনকে খুন করা হয় পন দিতে না পারার কারনে। এমন ঘটনার পিছনে প্রশাসনিক দৃঢ়তা এবং যথাযথ ব্যবস্থা না থাকার কারণকে ধিক্কার জানিয়ে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কঠোর শাস্তি দাবি তুলে মহিলা সমিতির বিক্ষোভ মিছিল হয় মেদিনীপুর শহরে। জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনিনীকা ঘোষ বোস, সভানেত্রী অঞ্জু কর, জেলা সম্পাদিকা গীতা হাঁসদা ও সভানেত্রী কানন বৈদ্য এবং রুবিরায়, পাপিয়া চৌধুরী সরকার প্রমুখ।
মেদিনীপুর শহরে এই কর্মসূচির আগে সকালে ঐ প্রতিনিধি দল শালবনী ব্লকের খামারবাড় জামবনী গ্রামে যান। সেই গ্রামে গত ১ ফেব্রুয়ারি গণ ধর্ষণের পর খুন হন নীছু মাহাত নামে এক মাঝ বয়সী গৃহবধূ। সেই ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমান রয়েছে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা মোবাইল সূত্র ধরেও প্রকৃত দোষীকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে পরিবার সহ গ্রামের মানুষের অভিযোগ। শাসক ও প্রসাশনের যোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এক মানসিক হাবাগোবা ২৬ বছরের পাশের গ্রামের যুবক দীপু হেমরমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘটনায় পিছনে জড়িতরা এলাকায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নিতে। নইলে এমন আরোও ঘটনা ঘটিয়ে দেহ উধাও করার হুমকি দিচ্ছে বলে গ্রামের মানুষের অভিযোগ। ফলে পুরো গ্রাম নিরাপত্তা হীনতায় ভয়ের মধ্যে বাস করছে। সেই বিষয়গুলি নিয়ে এবং এমন ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবী, গ্রামের মানুষের নিরাপত্তার দাবী নিয়ে শালবনী থানায়ও ডেপুটেশন দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
জেলার এতগুলি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত এবং কঠোরতম শাস্তির দাবী নিয়ে মেদিনীপুর শহরের কলেজ ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল থেকে রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন, ধর্ষন এবং দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ঘুনের ঘটনার প্রতিরোধে ব্যর্থ পুলিশ মন্ত্রী তথা মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ও তার সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে শ্লোগান ওঠে। মিছিল থেকে হলদিয়ায় মা ও মেয়ে কে একসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অতি ঘনিষ্ঠ, তৃণমূলের ভোট লুঠের মাস্টার মাইন্ড যুক্ত বলে অভিযোগ তুলে ধিক্কার জানিয়ে দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি করা হয় মিছিল থেকে।