পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: রানী শিরোমণিকে বামফ্রন্ট সরকার মর্যাদা দেয়নি। আর গত কয়েক বছরে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে রানী শিরোমণি স্থান করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, রানী শিরোমণির নামে ট্রেনের নাম দিয়েছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে মহামায়ার মন্দির সংস্কার, রানীর গড়, সেতু নির্মাণের কাজ হয়েছে। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের কর্ণেলগোলায় আদি সর্বজনীন পুজো কমিটির বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, দুঃস্থদের শীত বস্ত্র,
প্রতিবন্ধীদের সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
এদিন তিনি বলেন, রানী লক্ষ্মী বাই- এর কথা ইতিহাসে লেখা আছে। অথচ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যিনি গর্জে উঠেছিলেন, চুয়াড় বিদ্রোহের সেই অবিসংবাদিত নেত্রী
রানী শিরোমণির আত্মত্যাগ যাতে পাঠ্য বইতে ঠাঁই পায় এজন্য তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলবেন। বিশেযজ্ঞ কমিটি সবকিছু খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটা কেন্দ্রকে দেখতে হবে। দুই বাংলার মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি রয়েছে তা যাতে অটুট থাকে এরজন্য মুখ্যমন্ত্রী সদা সচেষ্ট। বিজেপি নেতারা এটা নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরছেন। আর পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় দাস, মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তনুশ্রী দত্ত, কাউন্সিলর সৌরভ বসু, পুজো কমিটির সম্পাদক তীর্থঙ্কর ভকত।