হাতি তাড়ানোর পদ্ধতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা

জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১ আগস্ট:
হাতি তাড়ানোর সময় হাতিকে লক্ষ্য করে জলন্ত মশাল বা পটকা ছোড়ার প্রবণতা বন্ধ না হলে বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সংঘাত আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন প্রাণী ও বন বিশেষজ্ঞরা। হাতিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বা যাতায়াতে বাধা দেওয়া হলে তারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় এবছর জানুয়ারি মাস থেকে ত্রিশ জুলাই পর্যন্ত হাতির হানায় মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হাতি বা অন্যান্য বন্য প্রানীদের উত্ত্যক্ত করার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেই এই প্রবণতা বাড়ছে।

প্রাক্তন বনকর্তা সমীর মজুমদার জানিয়েছেন, জঙ্গলে হাতিদের যথেষ্ট খাবার না থাকায় তারা মাঠের ফসল বা বাড়িতে মজুত খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ছে। এমনকি রাস্তায় ধান চাল ও শাক সবজি বোঝাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাবার খাচ্ছে। এইসময় হাতি তাড়াতে গিয়ে লম্বা বাঁশ দিয়ে হাতিকে পেটানো হচ্ছে। গায়ে ছোড়া হচ্ছে জ্বলন্ত পটকা বা মশাল। এর ফলে হাতি উত্যক্ত হয়ে মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

পরশুদিন চাঁদড়া রেঞ্জের গুড়গুড়িপাল এলাকায় মশাল নিয়ে হাতি তাড়ানোর সময় মশালের ছ্যাঁকা খাওয়া একটি হাতি আক্রমনাত্মক হয়ে একজন হোম গার্ডকে শুঁড় দিয়ে আছাড় মেরে মেরে ফেলেছে। হাতি খেদানোর সময় হাতিকে এইভাবে কষ্ট দেওয়া বন্যপ্রাণ আইন বিরুদ্ধ এবং তা করলে বিপরীত ঘটনা ঘটে যাওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের আধিকারিক বাসবরাজ হোলেইচি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *