পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩১ আগস্ট: একাধিক মহিলার সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া, রয়েছে একাধিক স্ত্রীও। প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রতিবেশীদের, চলল চুলের মুঠি ধরে পেটানো। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের দিশারি পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ এলাকায় পৌছে স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি।
জানা যায়, দিশারী পাড়া এলাকায় বাসিন্দা নরেশচন্দ্র বর্মনের ছেলে অরবিন্দ বর্মন। যার সঙ্গে বিয়ে হয় দীপা রায়ের। অরবিন্দ বর্মন বেসরকারি কোম্পানিতে বর্তমানে কর্মরত। অরবিন্দ বর্মনের স্ত্রী দীপা রায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর জানতে পারেন তার স্বামী একাধিক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। শুধু তাই নয় তার আরও অভিযোগ, তার স্বামীর রয়েছে একাধিক স্ত্রী। ঘরে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অবৈধ সম্পর্ক থাকা একাধিক মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখে বলে তার অভিযোগ। দীপার অভিযোগ, স্বামীর এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানানোয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত, করা হত মারধরও। সোমবার তার শাশুড়ি মারা যাওয়ার পরে সেই নির্যাতনের মাত্রা আরও চরমে ওঠে বলেও অভিযোগ। আর এরপরেই গৃহবধূ দীপা রায় সহ প্রতিবেশীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে নরেশচন্দ্র বর্মনের গোটা পরিবার। এদিন গৃহবধূর উপর নির্যাতন চালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত স্বামী অরবিন্দ বর্মনের বোনকে চুলের মুঠি ধরে দু’গালে সজোরে থাপ্পড় মারে। যাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বন্দনা মজুমদার ও শম্পা সরকাররা বলেন, গৃহবধূ দীপা রায়ের উপর নির্যাতন চালাত তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। অরবিন্দ বর্মনের দিল্লীতেও স্ত্রী রয়েছে।
অপরদিকে মূল অভিযুক্ত অরবিন্দ বর্মনের বোনের বক্তব্য তারা গৃহবধূকে নির্যাতন করেন না, দীপা রায় মিথ্যা কথা বলছে।