আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৬ সেপ্টেম্বর:
অনুপম সিংহ হত্যাকান্ড, তথামনুয়া কাণ্ডকে ছাপিয়ে গেল দত্তপুকুরের বেরো নারায়ণপুরের দেবানন্দ মণ্ডল হত্যাকাণ্ড। মঙ্গলবার সকালে দত্ত পুকুর থানা এলাকার জগন্নাথ পুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় দেবানন্দ মন্ডলের গলাকাটা দেহ। দেহ খুঁজে পাওয়ার চব্বিশ ঘন্টার আগে বারাসাত জেলা পুলিশ গ্রেপ্তার করল এই হত্যাকাণ্ডে মুল অভিযুক্ত গৌতম দে ও হত্যাকাণ্ডে সাহায্যকারী নিহতের স্ত্রী বৃহস্পতি মন্ডল ও পুত্র সৌমেন মন্ডলকে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানায়, তিনজন মিলে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরী করে। এরপর দেবানন্দকে নিয়ে গৌতম মদের আড্ডায় বসে। সেখানেই মদের বোতল ভেঙ্গে খুন করা হয় দেবানন্দকে। পুত্র সৌমেন দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্র। বাবার অর্থের অধীশ্বর হওয়ার প্রলোভনে বাবাকে খুনের পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে পিছপা
হয়নি সৌমেন।
অন্যদিকে, অ্যাডামাস কলেজের নিরাপত্তা কর্মী ছিল দেবানন্দ এবং গৌতম। তখন থেকেই বারাসাত মোজপোলে দেবানন্দের বাড়িতে যাতায়াত গাইঘাটার গৌতমের। তখন থেকে দেবানন্দর পত্নী (৩৮) বৃহস্পতির সাথে প্রেম বছর চুয়াল্লিশের গৌতমের। গৌতম ও দেবানন্দ দুজনেই অ্যাডামাস কলেজ থেকে কর্মচ্যুত হলেও যোগযোগ গভীর ভাবেই ছিল বৃহস্পতি গৌতমের। দেবানন্দ দিনমজুরের কাজে বেরোলেই কার্গো কর্মী গৌতম পৌঁছে যেত বৃহস্পতির কাছে।গাইঘাটার গৌতমের কাছে বারাসাত দত্ত পুকুর এলাকাও ছিল নখ দর্পনে। প্রেমের চরম পরিণতি দিতে পথের কাটা দেবানন্দকে খুন করার পরিকল্পনা করে বৃহস্পতি ও গৌতম। অর্থের প্রলোভনে সঙ্গী হয় দেবানন্দের পুত্র সৌমেনও। সব মিলিয়ে এরকম ভাবে বাবাকে খুনে মা ও মায়ের প্রেমিককে ছেলের সহায়তা করা অভূতপূর্ব।
সৌমেন কি ভাবে গৌতম ও বৃহস্পতিকে সাহায্য করেছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খুনে অংশগ্রহণ করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে গৌতম ও অন্য দুজন। এমনটাই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান বারাসাত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর।