আমাদের ভারত, ২৭ ডিসেম্বর: চারটি পৌরসভার ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই তালিকায় কেন হাওড়া নেই? এই নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকেই আপত্তি তুলেছিল বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস। এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে বামেদের অভিযোগ, ভোটের দিন তৃণমূলকে সন্ত্রাসে সাহায্য করতেই কমিশন সবটা সাজিয়েছে।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বামেরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করবেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনের তালিকা থেকে হাওড়া কেন বাদ গেল? ভোট ঘোষণা করার ক্ষেত্রে হাওড়াকে বাদ দিয়ে কেন ভোট ঘোষণা করা হল? তা নিয়ে সোমবার সন্ধেয় মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
পিটিশনে বলা হয়েছে, হাওড়া, আসানসোল, বিধান নগর, চন্দননগর এবং শিলিগুড়িতে নির্বাচন করা হবে সেটা কমিশনের তরফে আদালতে উপস্থিত থেকে জানানোর পরেও কেন বাদ গেল হাওড়া? মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বামেরা বলেছেন, তারা সর্বদলীয় বৈঠকের আজ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছিলেন, কিন্তু কমিশন সে বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। আদালতে হলফনামা দিয়ে কমিশন জানিয়েছিল তারা ২২ জানুয়ারি ভোট করাতে চায় পাঁচটি কর্পোরেশনে। তাহলে এর মধ্যে একটিতে ভোট হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নতুন কোনও নির্দেশিকা এসেছে? বামেদের প্রশ্ন ছিল। কমিশন বলেছে বর্তমান ভোটার তালিকায় ২২ জানুয়ারি ভোট হবে। অথচ ৫ জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। তাহলে নতুন যাদের নাম উঠবে তারা কেন ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন? কমিশন জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। বামফ্রন্ট বলেছে বড়দিনের ছুটিতে আদালত বন্ধ থাকবে ফলে প্রার্থীদের কাগজপত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে।