আমাদের ভারত, ১৯ ফেব্রুয়ারি:হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছে কর্ণাটক সহ গোটা দেশ। এবার এক ছাত্রকে তিলক কেটে ক্লাস করতে না দেওয়া নিয়ে তৈরি হলো বিতর্ক। কর্ণাটকের বিজয়পুরের ইন্ডি শহরের এক কলেজে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
শুক্রবার এক ছাত্রকে কলেজে ঢুকতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। তাকে বলা হয় গেরুয়া স্কার্ফ কিংবা হিজাবের মতোই কপালে তিলক কেটে ঢুকলেও একইরকম বিতর্ক তৈরি হতে পারে। তাই তাকে তিলক মুছে কলেজে প্রবেশে করতে হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি ওই ছাত্র। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রদের মধ্যে বচসা বাধে। তুমুল হট্টগোলের পর শেষ পর্যন্ত ছাত্রটিকে তিলক মুছে ক্লাস করতে দেওয়া হয়।
কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারপর থেকে ওই রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজ রণক্ষেত্র রূপ ধারণ করে। বেশকিছুদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখে কর্ণাটক সরকার।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী। এই মামলার ভিত্তিতে গত সপ্তাহে একটি অন্তর্বর্তী রায় দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয়, “যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন হিজাব সহ কোন ধরনের ধর্মীয় পোশাক স্কুল বা কলেজে পরা যাবে না। আমরা চাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক। রাজ্যে শান্তি ফিরুক। বিষয়টি যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন কোন রকম অশান্তির ঘটনা যেন না ঘটে। কেউ যেন ধর্মীয় উস্কানি না দেয়।”
এই রায়কে অদ্ভুত বলে দাবি করে এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছিলেন আইনজীবি দেবদত্ত কামাত। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এর মধ্যে তিলক কাটা নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হলো।