আমাদের ভারত, ১৫ ফেব্রুয়ারি: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি সহ ৫ পদস্থ আধিকারিককে ডেকে পাঠালো লোকসভার সংসদীয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটি।
বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংসদীয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে ই- মেইলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের এসপি হোসেন মেহেদী রহমান এবং উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছেন সংসদীয় কমিটি।
১৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় তাদের সংসদীয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ করেছে বিজেপি। সেখানে তাদের যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বাকি কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তার মধ্যে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির বনেটের উপরে উঠতে বাধ্য হন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির অভিযোগ, সুকান্ত মজুমদার গাড়িতে ওঠার পরেই ইচ্ছে করে গাড়িটি চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আর তাতেই তিনি পড়ে যান। তারপরই তিনি বেশ কিছুক্ষণ অচেতন হয়ে যান।
এরপর বিজেপি নেতাকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেলে সুকান্ত মজুমদারকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, সুকান্তবাবুকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় মমতার নির্দেশেই সমস্ত কিছু হয়েছে।”
সূত্রের খবর, এর পরে সুকান্তর ই- মেইল থেকে লোকসভার সংসদীয় কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো হয় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশের পরিকল্পিত হামলার জেরেই সাংসদের প্রাণ সংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা ও জেলার উচ্চ পদস্থ আইপিএসকে সংসদীয় কমিটির কাছে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।