আমাদের ভারত, ৭ ফেব্রুয়ারি: অন্যান্য বেসরকারি বীমা কোম্পানির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন বোঝাপড়া হয়েছে। সেই কারণেই কি এলআইসি অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল কংগ্রেস? মানুষের মনে এলআইসির প্রতি ভয় তৈরি করে অন্যান্য বেসরকারি বীমা কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার দিল্লিতে এলআইসি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। মুখে কালো কাপড় বেঁধে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারি বীমা সংস্থা হয়েও কেন আদানির মত বেসরকারি সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হল? আদানি শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে এলআইসি যাতে দেশের ২৫ কোটি মানুষের টাকা গচ্ছিত আছে। তারা এল আইসির অফিসারদের গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছে।
তৃণমূলের এই বিক্ষোভকে আসলে উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, দুটি কারণে তৃণমূল কংগ্রেস এইসব করেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এত সুন্দর সর্বস্পর্শী বাজেট করেছে যে তার সমালোচনা করার তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে কোনো ভাষা নেই। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন বেসরকারি যে সমস্ত বিভাগ সংস্থা গুলি আছে তাদের কাছ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কি কোনো উপোঢৌকন পেয়েছে? মানুষ যাতে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বদলে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থায় গিয়ে টাকা রাখে তার জন্য ওই সব সংস্থার কাছে এলআইসিকে বদনাম করার সুপারি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের দাবি করেছেন। তাঁর কথায় এলআইসি যে পরিমাণ টাকা বাজারে খাটায় তার এক শতাংশেরও কম আদানির কাছে দেওয়া আছে। তাহলে সেক্ষেত্রে এলআইসি’তে রাখা সাধারণ মানুষের গচ্ছিত টাকা কিভাবে অনিশ্চিত হচ্ছে? এরপরই তিনি প্রশ্ন করেন তাহলে কি বেসরকারি বীমা সংস্থার সাথে তৃণমূলের কোনো বোঝাপড়া হয়েছে এলআইসির বিরোধিতা করার জন্য?

