উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও রামপুরহাট শহরের মানুষ তৃণমূলকে ভোট কেন দিচ্ছেন না তাঁর রহস্য খুঁজতে হবে: শতাব্দী

আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ৯ জুন: মানুষের দাবি মতো উন্নয়ন করার পরও রামপুরহাটের মানুষ কেন তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। বুধবার কোভিড তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আলোচনা করতে এসে একথা বললেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনদিন ধরে বীরভূমের বিভিন্ন পুরসভা ঘুরে এলাকার সমস্যা, কোভিড তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আগাম কি প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে রামপুরহাট পুরসভায় আলোচনায় বসেন সাংসদ শতাব্দী রায়। উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, পুরপ্রশাসক মীনাক্ষী ভকত সহ প্রশাসক বোর্ডের কো-অর্ডিনেটররা।

বৈঠক শেষে শতাব্দী বলেন, “কোভিড তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আলোচনা হল। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক কিছু দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া বেশ কিছু দাবি উঠে এসেছে। ফিরে গিয়ে হিসেব নিকেশ করে জিনিসপত্র পাঠাব”।

বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরহাট পুরসভায় তৃণমূলের পরাজয় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ বলেন, “আমি ছ’ফুঁকো সংস্কার থেকে রামপুরহাট শহরের উন্নয়ন শুরু করেছিলাম। এরপর সাংসদ তহবিলের টাকায়, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষ কেন আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আমি তিনবার সাংসদ হয়েছি। কিন্তু শহর থেকে হেরেছি। এবার বিধানসভায় আশিসবাবু হেরেছেন। এর রহস্যটা কি তা তদন্ত করতে হবে। শহরের মানুষ কি চাইছেন তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে”।

পাশাপাশি তিনি জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে সংসদে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এর আগে সংসদে রাস্তা সংস্কারের দাবি তোলা হয়েছিল। তারপর সংস্কার শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর ফের বন্ধ হল কেন তা জানতে চাইব”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *