কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্যে রুসা প্রকল্পের কাজ কেন এগোচ্ছে না? দ্রুত শেষ করার জন্য ব্রাত্যকে চিঠি দিলেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২ সেপ্টেম্বর:
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কোনও রকম অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা দেয় না, বঞ্চিত করে বলে বারবার সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ময়দানেও নামতে দেখা গেছে তাদের। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাস্তানাবুদ, তখনই রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্প রূসা’র কাজ শেষ কেন হয়নি? কেন গতিহীন হয়েছে প্রকল্পের কাজ? প্রশ্ন তুলে এবং কাজ দ্রুত শেষ করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার–এর দাবি, উচ্চশিক্ষা খাতে কেন্দ্র টাকা দিলেও গত ১০ বছরে রাজ্যে রুসা প্রকল্পের কাজ বিশেষ এগোয়নি। এবার সেই কাজ দ্রুত শেষ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে সুকান্ত লিখেছেন, ২০১৩ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত অনুমোদিত ২০৫টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র কয়েকটি সম্পূর্ণ হয়েছে। রুসার অধীনে বিভিন্ন খাতে ব্যায়ের জন্য কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের জন্য ৫৪৪ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ৩৮৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা দিয়েছে, কিন্তু অভিযোগ, এতদিনে কাজের বিশেষ কোনও অগ্রগতি হয়নি।

সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, যাদবপুর সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক প্রকল্পের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলির কাজ বেশ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এছাড়া রুসার প্রথম ধাপে রানী বিড়লা গার্লস কলেজ, বারাসাত কলেজ, সাবিত্রী গার্লস কলেজ, মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজ সহ বেশ কিছু কলেজকে ২ কোটি টাকা করে দেওয়া হলেও সে কলেজগুলিতে উচ্চ শিক্ষা প্রকল্পে কাজ বিশেষ এগোয়নি। এরপরই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করে বাকি প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর পাঠানো চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে, কারণ রাজ্য সরকার প্রতিমুহূর্তে দাবি করছে, কাজের নিরিখে তারা সব থেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে, কিন্তু সেই রাজ্যে কেন উচ্চশিক্ষার প্রকল্পে এত ধীরগতি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যিনি বাংলার বিজেপি সংসদও বটে। যার ফলে এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরের যে আবারও অস্বস্তি যে বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *