আমাদের ভারত, ২৯ এপ্রিল: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি শুরু হলো সোমবার। ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে রাজ্যে ২৬ হাজার প্রার্থী চাকরি হারা হয়ে যান। এরপরই রাজ্য, এসএসসি ও পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কিন্তু চাকরি বাতিলের রায়ে কোনো অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আজ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। ফলে ২৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভাগ্য এভাবেই ঝুলে থাকলো আগামী সোমবার পর্যন্ত। কিন্তু সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা নিয়ে রাজ্যকে শীর্ষ আদালত প্রশ্নের মুখে পরতে হয়েছে।
আজ শুনানির সময় চাকরি হারাদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল নির্বাচনের ডিউটিতে আছেন চাকরি হারাদের অনেকেই। ফলে এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে চাকরি হারাদের আইনজীবীর আরো প্রশ্ন ছিল হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ করেনি, তাহলে কিভাবে চাকরি কেড়ে নিতে পারে? প্রত্যেকের পরিবার আছে। কিন্তু আজ শুনানির পর প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল সেখানে কোনো স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেয়নি। অর্থাৎ চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের যে নির্দেশ সেটা বহাল রয়েছে।
অন্যদিকে কমিশনের তরফে বলা হয় কারা অযোগ্য, কারা যোগ্য সেটা তারা বলতে পারে, সিবিআই নয়। কিন্তু তাতে আদালত পাল্টা প্রশ্ন তোলে, ওএমআর সিট তো সম্পূর্ণ নষ্ট তাহলে কিভাবে কমিশন যোগ্য, অযোগ্য আলাদা করবেন?
সুপার নিউমেরিক ইস্যুতে রাজ্যকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের প্রশ্ন ছিল গোটা নিয়োগে জালিয়াতি হয়েছে জেনেও কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করা হলো? কেন তাতে মন্ত্রিসভা সায় দিল?
আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সূত্রের খবর, সেখানে কত ভাগে এই মামলা ভাগ করা যায় তাও দেখা হতে পারে।
তবে সুপার নিউমেরি পদ সৃষ্টি মামলায় সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে আগামী সোমবার পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। রাজ্যের আইনজীবী এই বিষয়ে বলেছিলেন এখন ভোট চলছে ফলে এর মধ্যে সিবিআই তদন্ত হলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই রায়ের উপর অন্তর্ভুক্তির স্থগিতাদের দেওয়া হোক। তারপর এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।