আর ভারত, ১৫ ফেব্রুয়ারি: সরকারি আর্ট কলেজের সরস্বতীর মূর্তির পরণে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী কোনো পোষাক ছিল না। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে একাংশ দাবি করে প্রতিমাকে শাড়ি পরাতে হবে। এর প্রতিবাদে সামিল হয় বজরং দল ও ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকরা। ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি লাল কাপড় পরায় মূর্তিটিতে। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা লিচু বাগান এলাকায় সরকারি আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট কলেজে।
প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, দেবী সরস্বতীর মূর্তিটির পরনে শাড়ি ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে এই কাজটি তারা করেছেন। এবিভিপি এবং বজরং দলের সমর্থকরা সরস্বতী পুজো চলাকালীন ঢুকে মূর্তির পোশাক নিয়ে সরব হন। সরস্বতী প্রতিমার পোশাক নিয়ে আপত্তি তোলেন এই দুটি দলের সদস্যরা।
জানাগেছে, আর্ট কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই তৈরি করেছিলেন এই প্রতিমা। পুরনো মন্দিরের গায়ে থাকা মূর্তির অনুরূপে দেবীর মূর্তি গড়া হয়েছিল। বজরং দল এবং এবিভিপি সমর্থকরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেন প্রতিমাকে কেন শাড়ি পরানো হয়নি? এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি শাড়ি প্রতিমার গায়ে জড়িয়ে দিতে বাধ্য হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লাল রঙের একটি শাড়ি দিয়ে প্রতিমাকে মুড়ে দেওয়া হয়। তারপর বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়। বজরং দলের সমর্থকরা অবশ্য প্রতিমাটিকে পুরোপুরি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। কাপড়ের আড়ালে থাকা সরস্বতীকেই শেষ পর্যন্ত পুজো করা হয়।
এক এবিভিপি কর্মী জানিয়েছেন, সরস্বতী প্রতিমার এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজ মাধ্যমে। এই ভিডিও দেখেই আমরা কলেজে পৌঁছে যাই এবং কর্তৃপক্ষকে দিয়ে প্রতিমাকে শাড়ি পরাতে বাধ্য করি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বলেন, যেভাবে সরস্বতী প্রতিমাটি উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে দেবীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি। আর আমরা এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।
পুলিশ খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলেজে পৌঁছেছিল, যদিও এই নিয়ে কোনো পক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেনি।