আমাদের ভারত, ৮ জুলাই: আবারো আদালতে ধাক্কা খেলো রাজ্য। সুকান্ত মজুমদারের দায়ের করা মামলায় রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রতিনিধিকে আদালতে আসতে হবে সে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি?
সাম্প্রতিক সময় একাধিকবার সুকান্ত মজুমদারের একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কালীঘাটের প্রবাসী চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়া হোক, বা কালীগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে বালিকা মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিল হোক, সুকান্ত মজুমদারকে বারবার লালবাজারে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। আর তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে।
শুনানিতে রাজ্যের কাছে সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে হলফনামা চেয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। তবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সময় চান আদালতের কাছে। সেইমত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আগামী ২৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন। ঐদিন সব পক্ষের হলফনামা দেখার পর মামলার শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই দিন শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সাওয়াল করেন, সুকান্ত মজুমদার একটা উদাহরণ দেখান যেখানে তিনি কোথাও যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন কিন্তু দেওয়া হয়নি। পাল্টা বিচারপতি মন্তব্য করেন, এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেটা দেখুন। আমজনতা এসে বললে সেটা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়, কিন্তু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী যদি এমন অভিযোগ করেন সেটা আদালতের জন্য বিরম্বনার। এগুলো অপ্রয়োজনীয় বিবাদ। এই বিষয়ে উস্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি।
সুকান্ত মজুমদার তাঁর মামলায় উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত তিনটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে কোনো কারণ ছাড়াই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কলকাতা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় ও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
কালীগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে গড়িয়াহাটে মিছিল করতে গেলে সুকান্ত মজুমদারকে লাল বাজারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে ষোল ঘন্টা তাঁকে আটকে রাখা হয়। সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবী আবেদন করেন, এমনভাবে প্রতিপদে বাধা দেওয়া বন্ধ করুক পুলিশ।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ রাজনীতিকদের জন্য রাজ্য এসওপি তৈরি করুন, সেই আবেদনও করা হয়েছে আদালতে।