তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেন, তাদের অসততা নিয়ে লজ্জা পাচ্ছি: বিএল সন্তোষ

অশোক সেনগুপ্ত

আমাদের ভারত, ১৬ জুলাই: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক। ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহ থেকে সওকত মোল্লা, সেখ সুফিয়ান, জীবন সাহা। এর পরেও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেন? প্রশ্ন তুললেন বিজেপি-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ।

ভোট পরবর্তী ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। হাইকোর্টে ৫০ পাতার রিপোর্টে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। এই সঙ্গে, গোটা বিচারপর্ব রাজ্যের বাইরে করার আবেদন করা হয়।

বিএল সন্তোষ টুইটে লিখেছেন, “ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্য এনএইচআরসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দায়ী করেছে। এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করার প্রস্তাব দিয়েছে। উদারপন্থী এবং সমঝোতায় আসা আশপাশ অদ্ভুতভাবে নীরব। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের অসততা নিয়ে লজ্জা পাচ্ছি।“

NHRC indicts WB Govt led by @MamataOfficial for post-poll violence in state. Recommends several measures acc to news reports. Dead silence by liberals & compromised ecosystem. Ashamed of the dishonesty of so-called intellectuals.

– *Shri. B L Santhosh,* National General Secretary (Organisation)

প্রসঙ্গত, উদ্বিগ্ন এনএইচআরসি হাইকোর্টে দাখিল রিপোর্টে বলেছে, “বাঙলায় আইনের শাসনের বদলে চলছে শাসকের আইন। পরিস্থিতির বদল না হলে না হলে বাজবে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘণ্টা। ছড়িয়ে পড়বে অন্য রাজ্যেও।” ভোটের পর্যবেক্ষণে সিট বলেছে, দু’মাসে রবীন্দ্রনাথের মাটিতে খুন, ধর্ষণ, ভিটে ছাড়া হয়েছে মানুষ। অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সাক্ষীদের সুরক্ষায় উদ্বেগ। “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য”-র উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে আক্রমণ করেছে কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *