আমাদের ভারত, ৭ নভেম্বর:ভারত বায়োটেকের তরফে ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার টিকা নিয়ে আসার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে সেরাম ইনস্টিটিউটও আগামী বছরের শুরুতেই টিকা আনতে পারে বলে জানিয়েছে। ভারতের দুই প্রথমসারির ভ্যাক্সিন নির্মাতা সংস্থার এই ঘোষণার পরেই টিকা বিতরণের জন্য গাইড লাইন তৈরি করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফের জানানো হয়েছিল ৩০ কোটি মানুষকে করোনার টিকা প্রথমে আগে দেওয়া হবে। কিন্তু আলোচনা চলছিল এই ৩০ কোটির মধ্যে কারা থাকবেন তা নিয়ে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পেশা বয়স ইত্যাদির গুরুত্ব বিচার করে এই টিকা দেওয়াতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য চারটি ক্যাটাগরি তৈরি হয়েছে।এই চার ক্যাটাগরির প্রথমেই রয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এরপর গুরুত্ব বুঝে তিনটি ক্যাটেগরি তৈরি হয়েছে।
প্রথম ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী যাদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পুরুয়ারা ও আশা কর্মীরা।
এরপরের ক্যাটাগরি দু’কোটি ফ্রন্টলাইনে লড়াই করা জরুরী পরিষেবা সঙ্গে জড়িত কর্মীরা। এই দলে রয়েছেন পৌরসভার কর্মী, পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা,সেনা বাহিনী।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছেন প্রবীণ নাগরিকরা। ৫০ এর উপর বয়স্ক ব্যক্তি যাদের শরীরের কোমর্বিডিটি রয়েছে তারা অগ্রাধিকার পাবেন। ৫০ বছরের উর্ধ্বে বয়স এমন ২৬ কোটি মানুষ রয়েছেন।
এছাড়া রয়েছে একটি স্পেশাল ক্যাটাগরি। যার মধ্যে আছেন ১ কোটি মানুষ। যাদের বয়স ৫০ বছরের নিচে কিন্তু যাদের শরীরের অন্যান্য রোগ রয়েছে। তারা এই ক্যাটাগরিতে পড়বেন। জানা গেছে করোনা আক্রান্তদের ৬০%এর বয়স ৪০ এর মধ্যে। আক্রান্তদের অনেকেরই হার্টের রোগ, লিভার কিডনির রোগ, হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, ফুসফুসে সংক্রমণে মত রোগ রয়েছে। এমনকি অনেকেই মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই এই সব মানুষ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
আগামী বছরের শুরু থেকেই দেশী ও বিদেশী কোম্পানী গুলির থেকে করোনার প্রতিষেধক পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই আলাদা আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে টিকার উৎপাদন বিতরণ সংরক্ষণের জন্য। রাজ্যগুলিকে কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজে পরিকাঠামো ঠিক রয়েছে কিনা তা দেখতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হচ্ছে সেখানে।