সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৭ মে: লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা সহ বনগাঁ, হাবড়ার বিভিন্ন বাজার। চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হওয়ার আগে রবিবার হাবড়ার সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু মন্ত্রীর বৈঠকে মিলল না কোনও দিশা। বরং সোমবার মহকুমা শাসকের সিদ্ধান্তের উপর গোটা বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন হাবড়ার কলতান অনুষ্ঠান গৃহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বারবার বন্ধ বাজারগুলো খোলার দাবি জানানো হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকানপাট চালাচ্ছেন না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রী তাঁর জবাবি ভাষণে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের পাশে আছি পাশে থাকব। কিন্তু সবাইকে এটাও মাথায় রাখতে হবে, আমরা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কোরোনার বিপজ্জনক রেখায় পৌঁছে যাব। তাই, কষ্ট হলেও সবাকে আপাতত তা মেনে নিতে হবে। বাজার খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে সোমবার মহকুমা শাসক তাপস বিশ্বাস সিদ্ধান্ত নেবেন।’ এদিন মন্ত্রী কেন্দ্রের বিভিন্ন আশ্বাসের ব্যাপারে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা ব্যাবসায়ী ঋণ শোধ করার জন্য কয়েক মাস চাপ দেবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখালাম, কেউ আমাদের ছাড়েনি। এসব মিথ্যাচার। খাদ্য মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যেই ব্যবসায়ীদের একাংশ বারবার চিৎকার করে উঠছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে হাবড়ার প্রাক্তন পৌরপ্রধান নীলিমেশ দাস ও বিডিও শুভ্র নন্দী হাল ধরেন। দিনের শেষে হাবড়ার বাজারগুলো খুলবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনা অব্যাহত। এমনকী রেশনের প্রাপ্য বরাদ্দও দিচ্ছে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে এখনও কেন রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোন করা গেল না? উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখলেন তো ব্যবসায়ীরা মানছেন না। সবাই সচেতন না-হলে কোরোনা থেকে আমরা কেউ রেহাই পাব না। সবাই সচেতন হলেই রেডজোন থেকে দ্রুত আমরা অরেঞ্জ জোনে পৌঁছে যাব।’