কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর:
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এবং তৃণমূলের যেসব নেতা লুটপাট চালাচ্ছে তাদের স্থান হবে জেলে। তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত ছোট নেতা হলে মেদিনীপুর জেলে, মাঝারি নেতা হলে কলকাতার জেলে, আর বড় নেতা হলে কটকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর না হলে তাদের থাকতে হবে ঝাড়খন্ডে। কেশপুর, ক্ষীরপাই এবং ঘাটালের সভাতে আজ এই কথা বলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেশপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের সমর্থনে শুনুন চাষী ভাই কর্মসূচি কার্যত জনসভায় পরিণত হয়।
দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে উন্নয়নের টাকা পাঠাচ্ছে সেই টাকা লুট করছে তৃণমূলের নেতারা। আমফানের টাকা, রাস্তা তৈরির টাকা, আবাস যোজনার টাকা থেকে শুরু করে সমস্ত উন্নয়নের টাকা পকেটে ঢোকাচ্ছে তৃণমূল নেতারা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এইসব নেতাদের জেলে থাকতে হবে আর না হলে তাদের গ্রামছাড়া হতে হবে। যেসব পঞ্চায়েত সদস্যরা ১০ বছর আগে চুলে তেল মাখার পয়সা পেত না তারা এখন শ্যাম্পু মেখে ঘুরছে, যারা সাইকেলে ঘুরতো তারা এখন বাইকে ঘুরছে। তিনি পুলিশের ভূমিকাকে আক্রমণ করে বলেন, পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। এসপিকে তৃণমূল পার্টির জেলা সভাপতি বলে মন্তব্য করেন দীলিপবাবু। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের চাকর-বাকর হয়ে গেছে বলে দীলিপবাবু মন্তব্য করেন।
পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন ফাইল করতে দেওয়া হয়নি এবং গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল ব্যাপক সন্ত্রাস করেছিল না হলে ঘাটাল লোকসভা আসনে বিজেপি জিততো। তিনি আরও বলেন, বিজেপিকে জনসভা করার জন্য তৃণমূল সরকার মাঠ দিচ্ছে না। তৃণমূলের হাতে বিজেপির একশো কুড়ি জন কর্মী খুন হয়েছেন। বহু কর্মী নেতাদের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছে। এসবের জবাব মানুষ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দেবে। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যেককে নির্ভয়ে ভোট দিতে বলেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। বাড়ির মেয়েরা রাস্তায় বেরলে অভিভাবকরা চিন্তায় থাকেন। মেয়েদের সাথে অশালীন আচরণ করার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুষ্টু ছেলেরা এসব করছে। সেই সব দুষ্টু ছেলেদের কি করে শিষ্ট করতে হয় তা বিজেপি জানে।
দীলিপবাবু তার স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী আর নবান্নে থাকবেন না। তৃণমূল নেতারা কোথায় থাকবেন এখন থেকে ঠিক করে ফেলুন, কারণ তখন এক গ্লাস জল খাওয়ার মত আর সময় পাবেন না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক নাগরিক তার নিজের মতো করে রাজনীতি করতে পারবে। সমস্ত রাজনৈতিক কেস তুলে নেয়া হবে বলে দিলিপ বাবু বলেন। এদিন ক্ষীরপাই এবং ঘাটালে শতাধিক তৃণমূল এবং সিপিএম নেতা ও কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।এদিন দীলিপবাবু ছাড়াও ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে সহ জেলা নেতৃত্ব এবং মন্ডল সভাপতিরা।