আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২৯ ডিসেম্বর: “বাড়িতে সার্ভে করতে গেলে তাদের ঝাঁটাপেটা করবেন”। রবিবার বীরভূমের পাইকরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করতে গিয়ে এমনই নিদান দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন পাইকরের হাজরা মাঠে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, নলহাটি এবং মুরারইয়ের বিধায়ক মইনুদ্দিন সামসও আব্দুর রহমান, দলের জেলা সহ সভাপতি রানা সিং, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, বিকাশ রায়চৌধুরী।
সভায় প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর বলেন, “কেউ যদি বাড়িতে গিয়ে কতগুলো গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কতজন মানুষ জানতে যান তাহলে তাদের ঝাঁটাপেটা করে তাড়াবেন। আপনাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আপনাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ এ রাজ্যে কোনও আইন লাগু হবে না। এ রাজ্যের হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ সুরক্ষিত থাকবে। কাউকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই”।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পরাজয় নিয়ে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “মানুষ ওই বর্বর দলকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। ওই কালা আইন মানুষ যে মানে না তার জবাব ওরা ঝাড়খণ্ডে পেয়েছে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে যে নির্বাচন হবে সেখানেও তাদের খালি হাতে ফিরতে হবে। মানুষের সঙ্গে বেইমানি করলে তাদের ক্ষমা করবে না”। তবে ঝাড়খণ্ডে দলের ভরাডুবি নিয়ে নিয়মরক্ষার দোহাই দিয়ে দায় সারেন অনুব্রত। তিনি বলেন, “সর্বভারতীয় দলের তকমা পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হয়। তাই সেখানে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল দলের সর্বভারতীয় তকমা বজায় রাখতে”।