আমাদের ভারত, ৬ সেপ্টেম্বর: “মহাপুরুষরা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হন। তাই কবিগুরু গত পরশু দিনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কুনাট্য সম্বন্ধে লিখে গিয়েছিলেন, ‘উন্মাদিনী সৌদামিনী রঙ্গভরে নৃত্য করে’।” শনিবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাসপেন্ড হন মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। আর তাই নিয়ে চরম হট্টগোল হয় অন্দরে। চলে বিজেপির স্লোগান। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মার্শালের নেতৃত্বে বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা শঙ্কর ঘোষকে টেনে বার করার চেষ্টা করলে বিজেপি বিধায়করা তা আটকানোর চেষ্টা করেন। নিজের আসনেই অনড় থাকেন শঙ্করবাবু। তা নিয়ে তুমুল ধস্তাধস্তি চলে বিধানসভার অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয়ার্ধে বলতে ওঠার পরেও অশান্তি চলতে থাকে। শঙ্কর ঘোষের পর সাসপেন্ড করা হয় অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষকেও। মিহির গোস্বামীকে কার্যত চ্যাংদোলা করে বার করা হয়।
শনিবার তথাগতবাবু একই এক্সবার্তায় লিখেছেন, “কবিগুরুর সমকক্ষ না হলেও প্রাচীন বাংলায় কবিত্বশক্তির অভাব ছিল না – সবাই “এপাং ওপাং ঝপাং”-এর স্তরে নামেনি। তাই অন্য এক কবি লিখেছিলেন, “অলীক কুনাট্য রঙ্গে / মজে লোক রাঢ়ে বঙ্গে / নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়”।

