পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুলাই: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই দাম নিয়ন্ত্রণে তড়িঘড়ি বৈঠক সারলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে যেমন দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে ফঁড়েদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই সঙ্গে এসডিও, বিডিও এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, এগ্রো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট ও কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সবজি বাজারগুলো ঘুরে সবদিক খতিয়ে দেখার যে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কিনা।
মাস খানেক ধরে শাক- সবজি সহ আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কার দাম ঊর্ধ্বমুখী। গোটা রাজ্য সহ জেলা এবং শহরের বাজারে আকাশছোঁয়া দামে বিকচ্ছে এই শাক সবজি। বিশেষ করে আলু চল্লিশ টাকা, পেঁয়াজ চল্লিশ টাকা, বেগুন, ঝিঙে, উচ্ছে আশি থেকে একশো টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এরই সঙ্গে আদা, রসুন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। টমেটো অন্যান্য শাক সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই অগ্নি মূল্য নিয়ন্ত্রণে বৈঠক সেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তিনি প্রশাসনকে দেখার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে এবার জেলায় বৈঠক সারলেন জেলা শাসক, পুলিশ প্রশাসন একসাথে। মূলত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ আধিকারিক সহ এডিএম, জেনারেল ডেপুটি ডিরেক্টর, বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজের মালিক সহ বিশিষ্ট জনেরা। সেখানে জেলায় কী অবস্থায় রয়েছে এই আলু, পেঁয়াজ সহ শাকসবজি দাম তা খতিয়ে দেখা হয়। এই বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্টোরেজ মিলিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন আলু রয়েছে। সেখানে ৬ হাজার মেট্রিক টন আলু প্রতিদিন বের হয় বাজারে। এরই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রেও নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
মুরগির ডিমের দাম সাড়ে ছয় টাকা থেকে সাত টাকার মধ্যে বেঁধে ফেলা হয়েছে। যদি বাজারে কোথাও স্বল্প মূল্যে শাকসবজি এবং আলু পেঁয়াজ না পান তবে সুফল বাংলার আউটলেটগুলো থেকে সেই মাল সরবরাহের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।এরই পাশাপাশি এসডিও, বিডিও, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, এগ্রো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মার্কেট ভিজিট করে খতিয়ে দেখার। এরই সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফঁড়েদের বিরুদ্ধে, যারা বেশি দামে জিনিস কেনাবেচা করছে।