আমাদের ভারত, ১ আগস্ট: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ভারতের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর ফলে দ্রুত জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। ক্রমশ ভারত হুমকির মুখে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে নরম অবস্থান নেয় বলেই এই সমস্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, রোহিঙ্গারা ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে ক্রমাগত ভারতে ঢুকছে এবং এর ফলে অনেক রাজ্যের জনসংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, অসম, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের একটি অংশে পাহারা দিচ্ছে। তবে একটি বড় এলাকা এখনো অরক্ষিত। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে নিশানা দাগেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত বিশ্বা শর্মা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আপনারা শুনেছেন। যখন একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, আমি আমার সীমান্ত খুলে দেবো এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেব। তখন আপনি ভয়াবহ দেখতে পাবেন। এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুপ্রবেশের ব্যাপারে খুবই নরম। পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস দ্রুত বদলাচ্ছে। আপনারা শুধু ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা দেখুন এটিকছ ২০১৯ এর তালিকা সঙ্গে তুলনা করুন। ফারাক নিজেই দেখতে পাবেন। আপনি পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে হিন্দু-মুসলমানের অনুপাত দেখতে পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড সরকারের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের বিষয়ে নরম হবার অভিযোগ করেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি এই দুই সরকার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন অসম ত্রিপুরা সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং উভয় রাজ্যের পুলিশ বেশ কয়েকবার বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতারও করেছে। তিনি বলেন নরম নীতি অনুসরণ না করার ফলে অসম এখন আর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নয়। আমাদের অবস্থা পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খণ্ডের চেয়ে ভালো। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখানে পরিস্থিতি আর খারাপ হয়নি।