আমাদের ভারত, ২৭ জুলাই: কোচবিহারের গণধর্ষিতা নাবালিকার মৃত্যু, তার দেহ নিয়ে কাড়াকাড়ি। অন্যদিকে মালদায় আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই সব প্রসঙ্গ তুলে এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গ রেপ ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়ায় পরিণত হয়েছে। আর তার দলের নেতারা মণিপুরের কথা বলছেন।
মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন বিরোধীরা। কিন্তু সরকার এই ইস্যুতে আলোচনায় রাজি থাকলেও অমিত শাহ বিবৃতি দেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সেটা মানতে নারাজ বিরোধীরা। এরপর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে তারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এই অনাস্থায় সরকার পড়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা না থাকলেও তাদের দাবি, মণিপুর ইস্যুতে সরকারের নীরবতা ভাঙতে তারা এই পদক্ষেপ করেছেন। কিন্তু এবার এরই পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ নিজের ঘর ফেলে তার কথা না চিন্তা করে তৃণমূল মণিপুরের ঘটনা নিয়ে বেশি ভাবিত।
দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “বিরোধীরা দিকভ্রষ্ট। তারা নিজেরাও জানে না তারা কী করছেন। মণিপুরের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক আমরা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ার সামনে এসে বলেছেন। তারপরেও তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল যারা নিজের রাজ্যে সামলাতে পারছে না, তারা মণিপুর নিয়ে চিৎকার করছে।” তিনি বলেন, কোচবিহারে বুধবার মার মার কাটকাট অবস্থা তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হলে মারপিট হবেই সেটা খুব স্বাভাবিক বিষয় এখন। কিন্তু এখন কোচবিহারে যেটা হচ্ছে, সেখানে একটি নাবালিকা মেয়ে চারজন দুষ্কৃতী দ্বারা গণধর্ষিত হবার পর জীবন মরণের লড়াই করছিল। সে মারা গেছে। গ্রামের মানুষ অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। এই সরকারি প্রশাসনের উপরে আস্থা রাখতে পারছে না তারা। সেখানে থেকেই আমরা আবার জানলাম, মালদার চাঁচলের মালতীপুরে আর একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যে রাজ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে ধর্ষণের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে, রেড ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া হয়ে গেছে, সেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মণিপুর নিয়ে চিন্তা করছেন।” পরামর্শের সুরে তিনি বলেন, “আগে নিজের ঘরটা পরিষ্কার করে নিজের ঘর সামলাক। ওরা নিজের ঘর না সামলে অন্যের ঘরে উঁকিঝুঁকি মারছে।”