পিপিই পরে দুর্গাপ্রতিমা বরণ ঠাকুরপুকুরে! শোভাযাত্রা-হীন বিসর্জন ২৪টি ঘাটে

রাজেন রায়, কলকাতা, ২৬ অক্টোবর: প্রতিমা দূর থেকে দর্শন থেকে সিঁদুরখেলা বারণ এমনকি ডিজে, মাইক নিষিদ্ধ, শোভাযাত্রার নিষেধাজ্ঞার মত একাধিক নিষেধাজ্ঞা জা সেই নিয়ম মেনে দশমীর সকাল থেকেই ঘাটগুলিতে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণ রুখতে ঠাকুরপুকুরের এসবি পার্ক পুজো মণ্ডপে পিপিই কিট করে প্রতিমাকে বরণ করলেন এলাকার মহিলারা।

এ দিন দুপুরে ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার ২৪ টি ঘাটে এদিনই ১৮০০-র বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হতে চলেছে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জন চলবে। তার জন্য অতিরিক্ত তিন হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী দায়িত্বে রয়েছেন। ভাসানের পর সঙ্গে সঙ্গে নদী থেকে কাঠামো-ফুল এবং অন্যন্য সামগ্রী তুলে ফেলা হচ্ছে। বিসর্জনের সময় ঘাটে চার-পাঁচ জনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সর্ব ক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে স্পিডবোটে রিভার ট্রাফিক পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বাবুঘাট, জাজেস ঘাট, নিমতলা ঘাটে চাপ বেশি থাকবে বলে মনে করছে পুলিশ।

প্রতিটি ঘাট ও ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা রয়েছেন। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিটি ঘাটে করা হয়েছে মার্কিং। ২টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে নজরদারি। থাকছে মহিলা পুলিশও।

বিসর্জনের জন্য কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই রাস্তাগুলি হল

১) রাসবিহারী অ্যাভিনিউ হয়ে কালীঘাট রোড-টালিগঞ্জ রোড।

২) হাজরা রোড হয়ে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে বলরাম বসু ঘাট রোড।

৩) রেড রোড হয়ে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ-কিংস ওয়ে হয়ে স্ট্র্যান্ড রোড।

৪) বিবেকানন্দ রোড-কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট হয়ে ক্রস রোড ফাইভ।

৫) যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ-মদনমোহনতলাস্ট্রিট-রবীন্দ্র সরণি।

৬) যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ হয়ে বি কে পাল অ্যাভিনিউ হয়ে নিমতলা ঘাট স্ট্রিট।

৭) মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড হয়ে আহিরীটোলা স্ট্রিট হয়ে স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড।

৮) চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ হয়ে বিডন স্ট্রিট হয়ে নিমতলা ঘাট স্ট্রিট হয়ে স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর পর্যন্ত কলকাতায় কার্নিভাল ছাড়াও বহু পুজো কমিটি নিজেদের উদ্যোগে বড় শোভাযাত্রা বের করেছিল। এই বছর পুজোর অনুমতি নেওয়ার সময় প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে পুলিশ জানিয়ে দেয় যে, কে, কখন, কোন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারবে। ফলে পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী, উদ্যোক্তাদের নির্ধারিত দিন ও সময়ে নির্দিষ্ট ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটি থানার আধিকারিকরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *