কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১২ নভেম্বর :
আমরা এগোবো বাকিরা কাঁদবে। ট্রাকের পেছনে যে রকম লেখা থাকে, ঠিক সেই অবস্থা হবে বাকিদের। এই বৃহস্পতিবার ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুল ময়দানে আয়োজিত বিজয় সম্মিলনীতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কথা বলেন। আমরা বলতে তিনি কাদের বোঝাচ্ছেন তা উল্লেখ না করলেও একবারও তৃণমূল কংগ্রেসের নাম বা তৃণমূল সরকারের নাম কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেননি। শুভেন্দু বাবু বলেন,
আমরা গ্রামের গামছা পরা মানুষ, আমাদের বাড়িতে মোটা ভাত, মোটা কাপড় থাকে।
আজ শুভেন্দুর জনসভা ঘিরে উৎসাহ ছিল দেখার মত। শুভেন্দুবাবুর কনভয় এর সাথে প্রায় ৩০০টির বেশি মোটরবাইকের মিছিল ছিল। এদিন শুভেন্দুবাবু বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে সভা শুরু করেন।
শুভেন্দুবাবুর জনসভায় তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো ছবি ছিল না। যদিও উদ্যোক্তারা এই জনসভাকে বলেছেন বেসরকারি জনসভা এবং দুর্গাপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বিজয়া সম্মেলন। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে তিনি ঘাটালে এসেছেন সংগঠন তৈরির জন্য। ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন নির্বাচনে তিনি এসেছেন। সেই সময় শক্তিশালী সিপিএমের ভয় না পেয়ে তিনি ঘাটালের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রচার করেছেন, মিটিং করেছেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঘাটালের লক্ষ্মণপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছিলেন সিপিএমের হাতে। তারপরেও শুভেন্দুবাবু সেই গ্রামে ভোটের প্রচার করেছেন বলে মনে করিয়ে দেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে মেদিনীপুর জেলার ভূমিকা সম্বন্ধে তিনি বলেন। পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহে তিনি একাধিকবার এসেছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের ইতিহাস বলেন। তবে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের ইতিহাস বলতে গিয়ে, তিনি একবারও “আমাদের নেত্রী”র কথা উল্লেখ করেন।
শেষে বলেন, তিনি জনগণের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
শুভেন্দুবাবুর সভায় মঞ্চে তৃণমূল দলের কোনও নেতা ছিলেন না। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অজিত দে, তপন দত্ত, বিকাশ কর, কৌশিক কুলভি, বিকাশ কর, গৌতম ভট্টাচার্য্য, উদয় শংকর সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা।
বিভিন্ন সভায় তিনি যেভাবে ব্যক্তিগত ভাবে সভা করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তিনি কি তাহলে অন্য দল করবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে তাঁর ফারাক ক্রমশ বাড়ছে।