আমাদের ভারত, ২৫ ফেব্রুয়ারি: দিল্লি থেকে রাজ্যে ফিরে আবারো সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার অভাব নিয়ে সরব হন তিনি। একই সঙ্গে তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, তারা বাধ্য করবেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে।
কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে পার্থ ভৌমিক যা বলছেন সেগুলো অজুহাত ছাড়া কিছুই নয়। তাঁর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার কোনো চেষ্টা করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বে। বিধানসভায় শেখ শাহজাহানের হয়ে তিনি সাফাই দিচ্ছেন। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সাফাই দেন পুলিশ কি গ্রেপ্তার করতে পারবে?”
এরপরেই সুকান্ত মজুমদার হুংকারের সুরে বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য করবো আমরা।”
অন্যদিকে ভোট ঘোষণার অনেক আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্য কমিশন নয়, এবার ভোট করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর নিয়ম-কানুন মেনে সব হবে। বাংলায় যেভাবে ভোট হয়, ভোট পরবর্তী হিংসা হয় সেটা এখন সবার জানা। তাই সেই মতো তারা ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর কথায়, ১ মার্চ নয়, আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে পারে। যাতে কোনো মানুষের জীবন হানি না হয় এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় তার জন্য এটা প্রয়োজন।
অন্যদিকে কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট নিয়ে অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কংগ্রেসের অবস্থা এখন ডুবন্ত জাহাজের মতো। বাঁচার স্বার্থে খড়কুটোর মত চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। আর সেই জন্য কখনো বাম, কখনো তৃণমূল। ওরা সাপের গালেও চুমু খাচ্ছে, ব্যাঙের গালেও চুমু খাচ্ছে।
সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় সরব হন তিনি। অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ গেলেই মানুষ ক্ষেপে যাচ্ছে। এখন পুলিশের যাওয়া উচিত নয়। কারণ এই পুলিশই একসময় সেখানে কার বাড়ির মেয়েরা সুন্দর, কাকে তৃণমূল নেতাদের ডেরায় পাঠাতে হবে ঠিক করত।
এরপরই বাংলার মহিলাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, নিজের এবং বাংলার অন্য মেয়েদের কথা চিন্তা করে যেনো তারা ভোট দেন।
একই সঙ্গে তাঁর দাবি, শুধু সন্দেশখালিতেই এই রকম ঘটনা ঘটেছে এমন নয়। রাজ্যের এমন বহু জায়গা আছে যেখানে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গাতেই তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মতই অন্যের জমি জায়গা দখল করে রেখেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি দাবি করেন।