আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৫ আগস্ট: তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার কারণে ওরা এখন মরিয়া হয়ে গেছে। ওরা এখন মারধরের রাস্তা নিয়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি ওদের উপর, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করার অনুরোধ করছি। তবে তৃণমূলের মনে রাখা উচিত আমাদের কাছে হোমিওপ্যাথি, এ্যালোপ্যাথি ও কবিরাজি অনেকরকম ওষুধ আছে। প্রযোজনবোধে আমারাও সেই ওষুধ প্রয়োগ করব এবং তখন ওদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হবে। শনিবার উদয়নারায়ণপুর ও বাগনানে স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এইভাবেই শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে উচ্চতায় বিজেপির পতাকা উড়ছে আগামী মে মাসের পর এই পতাকা আরোও উঁচুতে উড়বে। এদিন জয় সকলকে বলেন, অনেকদিন কেউ একনাগাড়ে কাজ করলে সেই কাজের প্রতি তার অনিহা জন্মে যায় যে রকম তৃণমূলের হয়েছে ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে মানুষের উন্নয়নের দিকে ওদের আর মন নেই। সেই কারণে ওদের ছুটির প্রয়োজন আর বাংলার মানুষ পারবে এই সরকারকে ছুটি দিতে। বিজেপি নেতা বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গ্রামীণ জেলা থেকে ৪/৫টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আর আমরা সেটা জিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেব। জয় বলেন, কেন্দ্রে এবং রাজ্যে দুটি পৃথক সরকার থাকলে সমস্যা হবে আর সেক্ষেত্রে যদি এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না বলে দাবি করেন জয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ২০২২ সালের পর দেশের সমস্ত বাড়ি পাকা হবে বলে জানান জয়। এদিন দুটি জায়গাতেই বিরোধী দলের শতাধিক সংখ্যালঘু ও মহিলা বিজেপিতো যোগ দেন। দলে যোগ দেওয়া কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জয় মাস্ক বিতরণ ছাড়াও বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।