কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৩০ আগস্ট:
সামনে যুদ্ধ অর্থাৎ পুরসভার নির্বাচন। প্রতিটি তৃণমূল কর্মীকে যোদ্ধা বলে উল্লেখ করে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রবিবার ঘাটাল টাউনহলে আয়োজিত ঘাটাল শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক সভায় বিধানসভা নির্বাচনে ঘাটালে দলের পরাজয় কেন হল তার আত্মসমালোচনা হয়।
দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আসিস হুদাইত বলেন, আগামী পুরসভা নির্বাচনে ঘাটাল পুরসভার ১৭ টি ওয়ার্ড চাই। যদি অতীতে কোনও ভুল হয়ে থাকে তা সংশোধন করা হবে। তিনি বলেন, দলকে সামনে রেখে কেউ যদি ভাবেন আমরাই শেষ কথা হব, তা ভুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আত্মসমালোচনা সুরে চাঁচাছোলা বক্তব্যে উদয়শঙ্কর সিংহ রায় দলের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে শংকরবাবুকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা ঘাটালে কান পাতলে শোনা যায়। তিনি বলেন, তৃণমূলের সাধারণ কর্মী যারা দিন-রাত ঘাম ঝড়িয়ে কাজ করেন তাদের মনে প্রশ্ন আগামী পুরসভা নির্বাচনে কি হবে?
তিনি বলেন, ঘাটাল শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতিকে ভাবতে হবে, ঘাটালের মানুষ কি বলছেন। প্রাক্তন সভাপতি অরুন মন্ডলকে সভাপতির পদে রাখার জন্য তিনি সওয়াল করলেও রাজ্যের নির্দেশ মেনে নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, সব কিছু বিশ্লেষণ করে জেলায় এবং রাজ্যে পাঠাতে হবে।
আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিকাশ কর বলেন, যদি শংকরবাবুকে হারিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে, এর সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল থেকে দূরে রাখা হবে। তিনি শ্রমজীবী মানুষ সহ সমস্ত মানুষের কাছে দলকে পৌঁছতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
বিকাশবাবু বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লি থেকে বিজেপির বড় বড় নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর চেয়ার টলাতে পারেনি। আগামী পুরসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করার কথা তিনি বলেন।
জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যাম পদ পাত্র বলেন, সাধারণ কর্মীরা দলের স্তম্ভ।