আমাদের ভারত, ৮ মার্চ: বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এখন শোনা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি তমলুক আসন থেকে লড়াই করছেন। বিজেপির তরফে তার নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যাওয়ায় নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, তারাই প্রাক্তন বিচারপতিকে তমলুক থেকে লড়াই করতে বলেছেন।
খাতায় কলমে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই তমলুকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। গত রবিবার এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। কিন্তু তিনি কোন দলে যোগ দিচ্ছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পরে নিজেই জানান, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।
তিনি নিজেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন? নাকি তাকে বিজেপিতে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? তা নিয়ে চর্চাও হচ্ছিল। তার মধ্যেই আরো এক চর্চা জোড়দার হয়ে ওঠে, তমলুকে প্রার্থী হতে তিনি চেয়েছিলেন? নাকি দলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? আর এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছেন, “জনগণের তার প্রতি ভালোবাসার জন্য দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তমলুক থেকে প্রার্থী হননি উনি, এই আগ্রহ প্রকাশ আমরাই করেছি।”
২০০৯ সালে তমলুক কেন্দ্রে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৬ সালে পর্যন্ত তিনি এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত শুভেন্দু তৃণমূলেই ছিলেন। ২০১৬ সালে উপনির্বাচনে জিতে আসেন দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। দিব্যেন্দু খাতায়-কলমে ঘাসফুল শিবিরে থাকলেও তার বাবা ও তিনি বিজেপির পক্ষে চলে গেছেন। ফলে এই আবহাওয়ায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।