জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৫ জানুয়ারি: দলের প্রবীণ নেতা কিষানদার গ্রেফতারের বদলা নিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মাওবাদীরা নাশকতা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে খড়্গপুর সহ ঝাড়খন্ড রাজ্য সীমান্তবর্তী রেল স্টেশনগুলি। চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবে স্নিফার ডগ নিয়ে রেল স্টেশন ও স্টেশনে দাঁড়ানো দূরপাল্লার ট্রেনের কামরায় যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে জিআরপি এবং আরপিএফ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা জেলার কান্দ্রা থানা এলাকা থেকে প্রবীণ মাওনেতা কিষানদাকে সস্ত্রীক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই মাওবাদীদের তরফে ১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর পাঁচ দিনের ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালনের ডাক দেওয়া হয়।
কিন্তু তারপর মাওবাদীরা চুপচাপ বসে থাকবে এমনটা মনে করছে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসের মত দিনগুলিতে তাঁরা কালো পতাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন হিংসাত্মক কাজে তৎপর হয়ে ওঠে। তাই, প্রবীণ মাওবাদী নেতা কিষানদা গ্রেফতারের পর প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসার আশঙ্কা করে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মাওবাদীদের নাশকতামূলক কার্যকলাপের আশঙ্কা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দাদের একাধিক এজেন্সি ইতিমধ্যেই এরাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করেছে। জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলা পুলিশ প্রশাসনকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশেষ নজরদারি থাকছে।
মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জঙ্গল অধ্যুষিত থানার জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশাপাশি গ্রামীন সড়ক যোজনার রাস্তাগুলিতে বিশেষ টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের দুই প্রবেশমুখ ঝাড়খন্ড সংলগ্ন চিচড়া ও ওড়িশা সীমান্তের সোনাকনিয়া এলাকা সহ দুই মেদিনীপুর জেলার সমস্ত টোলপ্লাজা ও বিভিন্ন স্পর্শ কাতর এলাকায় বিশেষ নাকা চেকিং চালাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ বাহিনী। বাস টার্মিনাস, রেল স্টেশন জুড়ে চুড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।