-
অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৫ আগস্ট: বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের সমর্থনে আগামী ৮ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম পড়ুয়াদের সংগঠন– সাংস্কৃতিক সংহতির ডাক দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রাক্তন রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক মাধ্যমে লেখা হয়েছে, “বাংলাদেশের রাজাকার, জামাত এ ইসলামী, বিএনপি, ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভারতীয় এজেন্টদের চিনে নিন!”
প্রস্তাবিত অনুষ্ঠানের পোস্টারে লেখা— প্রিয় বাংলাদেশ, শুধু বৃষ্টি নয়, বজ্রপাতও ভাগ করে নেব তোমার সাথে। মাঝে মাইক্রোফোন ও লাল রঙে ছাপা শ্লোগানরত দুই আন্দোলনকারীর ছবির নিচে লেখা, “৮ অগস্ট বিকেল ৪টে, আহার ক্যান্টিনের পাশে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। উপস্থিত মৌসুমি ঘোষ, আদিত্য ভৌমিক ও বন্ধুরা”।
ওই পোস্টার-সহ কার্তিক মণ্ডল নামে এক নেটনাগরিক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে হিন্দু হত্যালীলা। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার দেশ রংপুর! ১৯৪৭ সালে হিন্দুরা রংপুরকে ভারতে ধরে রাখতে পারিনি। রংপুর চলে গেছিলো বাংলাদেশে। তবুও রংপুরে কিছু ঘর হিন্দু বেঁচে ছিল ভিটা না ছাড়ার জেদ নিয়ে। আজ এরকমই এক হিন্দু বাঙ্গালী রাজবংশীকে হত্যা করা হল!
হত্যাকারী কোনও বাইরে থেকে আসা জঙ্গি নয়, ঘরের পাশেই থাকা মুসলিম প্রতিবেশী! ছাত্র আন্দোলনের নামে বাংলাদেশজুড়ে বিএনপি, জামাত শিবিরের তাণ্ডবে নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা থেকে রংপুর সর্বত্র হিন্দু মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়েছে।
১৯৪৭, ১৯৭১ যারা পূর্ববঙ্গ থেকে হিন্দু বাঙালিকে গণধর্ষণ ও উদ্বাস্তু করেছিল, তারা বাইরে থেকে আসা লোকজন নয়, হিন্দু বাঙ্গালীর প্রতিবেশী মুসলিমরা। গতকাল থেকে যা শুরু হয়েছে আবার। হাসিনা সরকারের পতন হলে যা বাংলাদেশজুড়ে হিন্দু গণহত্যার রূপ নেবে।”