খড়্গপুরের ৩৩নম্বর ওয়ার্ড এখন নেপোলিয়নের শেষ যুদ্ধক্ষেত্র ওয়াটারলু

জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি: জমে উঠেছে খড়্গপুরের পৌর নির্বাচনের
লড়াইl বিশেষ করে জমজমাট লড়াই হতে চলেছে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডেl

এবার পৌর নির্বাচনে তৃণমূল নেতা রবি শঙ্কর পান্ডে লড়াইয়ে নেই, লড়াইয়ে নেই মুনমুন চৌধুরী ওরফে দেবাশিসও। লড়াইয়ে রয়েছেন খড়গপুরের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসক প্রদীপ সরকারl তিনি দাঁড়িয়েছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। কিন্তু সেই লড়াইয়ে জোশ নেইl কারন তাকে লড়তে হবে তার নিজের দলের সঙ্গেই। লড়াই এখন জমে উঠেছে মধ্য খড়গপুর ছাড়িয়ে প্রান্তিক খড়গপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ৩৩ নম্বরে জোর লড়াই বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বনাম ২২ বছরের অপারেজেয় প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান জহরলাল পালের।

যদিও লড়াই এখানেই শেষ নয়। গতবার এই ওয়ার্ড সিপিএমের জেতাl তাই লড়াই সিপিএমের প্রার্থী রেড ভলান্টিয়ারের তরুণ তুর্কি মিঠুন দে’র সাথেও লড়তে হবে। আর পাশাপাশি লড়াই প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রবীণ বামপন্থী নেতা মনোজ ধরের সঙ্গেও। মনোজ ধর লড়ছেন আমরা বামপন্থীর হয়ে। সব মিলিয়ে ৩৩নম্বর ওয়ার্ড এখন নেপোলিয়নের শেষ যুদ্ধক্ষেত্র ওয়াটারলুর মতই। আর সেই লড়াইয়ে নামার আগে প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী জহর লাল পালের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন বিজেপি প্রার্থী বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন মনোনয়ন জমা দিতে আসা দু’দলের প্রার্থীর সঙ্গে আসা অগণিত কর্মী সমর্থক।

বুধবার খড়গপুর মহকুমা শাসকের অফিসে জহর লাল পালের সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রদীপ সরকার সহ অন্য বেশ কিছু তৃণমূল প্রার্থী ও অগণিত সমর্থক। সেই সময় খড়গপুর শহরের বিজেপি নেতা ও কর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির হন অভিনেতা হিরণও। তখনই তিনি দেখতে পান প্রবীণ তৃণমূল নেতা জহর লাল পাল কে। এরপরই ‘জহর দা’ বলে তিনি সটান চলে যান তাঁর কাছে এবং ঝুঁকে তাঁর পা ছুঁয়ে নিয়ে আশীর্বাদ চেয়ে নেন আসন্ন লড়াইয়ের জন্য। ঘটনায় প্রথমে হতচকিত হয়ে যান জহর। তারপর পরিস্থিতি সামলে নিয়ে দু’হাতে তুলে ধরেন হিরণ কে। মৃদু হেসে হাত রাখেন মাথায়। লড়াইয়ে হার জিত যাই হোক না কেন, মুহূর্ত খানি মোবাইল বন্দি করলেন দু’দলের সমর্থকরাই। রাজনীতিতে এধরনের সৌজন্য বিরল বৈকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *