আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৮ জানুয়ারি: নিজের হাতে বন্ধ দরজা খুলে বাম-কংগ্রেসের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিন বাঁকুড়া মুখ্য ডাকঘরের কাজকর্ম স্বাভাবিক করলেন করলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার।
বুধবার সকাল থেকেই শহরের মাচানতলায় মুখ্য ডাকঘরে বনধের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কর্মচারীরা মুখ্য ডাকঘরের সামনে অবস্থান আন্দোলনে বসেন। এদিন দুপুর নাগাদ বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার সেখানে গিয়ে ডাকঘরের কর্মচারীদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই সময় উপস্থিত হন সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোষ্ট রামেশ্বর দয়াল। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার নিজেই ডাকঘরের বন্ধ দরজা খোলার কাজে হাতে লাগান। একই সঙ্গে এদিন কাজে যোগ না দেওয়া কর্মচারীদের অনুপস্থিত দেখানো ও বেতন কাটার নির্দেশ দেন সুপারকে।
জেলা মুখ্য ডাকঘরে কাজে আসা গ্রাহক রুমা মণ্ডল বলেন, নতুন পাশবই নেওয়ার জন্য এসেছিলাম। এখানে এসে দরজা বন্ধ দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে। আবারো সময় করে অন্য দিন আসতে হবে বলে তিনি জানান। আর সেই সময়ই সাংসদের উপস্থিতিতে খুলে গেল পোস্ট অফিসের দরজা।
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোষ্টস রামেশ্বর দয়াল বলেন, দু’টি ইউনিয়ন আগেই নোটিশ দিয়ে রেখেছিল যাতে কাজ না হয়। সেই কারণে কর্মচারীরা কেউ এদিন আসেননি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দরজা কে খুলবে? কাজ করার জন্যই তো কেউ আসেননি। কোনও কর্মী না আসার কারণে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে তিনি আরও জানান, সবাই এলে তবেই সব কটি দরজা খোলা হবে। নাহলে সব দরজা খোলার কোনও প্রয়োজনই নেই। তবে জেলার মুখ্যডাকঘর বন্ধ থাকলেও ঝাঁটিপাহাড়ি ও বিষ্ণুপুর স্টেশন রোডের ডাকঘরে কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে বলেই তিনি জানান।
সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বাম-কংগ্রেসকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এদের সংগঠনের নেতারা কর্মচারীদের ভুল বুঝিয়েছেন। এমনকি ডাক বিভাগের কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। যেসমস্ত কর্মচারী এদিন কাজে যোগ দিলেন না তাদের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত করা হলো ও বেতন কাটা হবে বলেও তিনি জানান।