আমাদের ভারত, ২৭ জুন: কালীগঞ্জে তৃণমূলের বিজয় উৎসবে বোমাবাজির বলি হয়েছে এক নাবালিকা। নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একমাত্র সন্তানকে খুইয়ে শোকে ভেঙ্গে পড়েছে পরিবার। তামান্নার পরিবার বিজেপি না করলেও মানবিকতার জন্য তাদের সব রকমভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা।
বেশ কিছুক্ষণ সুকান্ত মজুমদার বোমার আঘাতে নিহত তামান্নার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদের জন্য ফুটফুটে মেয়েটিকে হারাতে হলো। তিনি জানান, তামান্নার মা গাউল শেখের কথা বলেছেন। যিনি এসবে মাথা। গাউল শেখ তৃণমূলের বুথ সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, তামান্নার মায়ের বলা কথা আমার বুকে বিঁধেছে। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের জয়ী হবার জন্য তাদের ক্ষমতা বেড়েছে এবং তাই সেই উল্লাসে তারা তামান্নার রক্ত নিয়ে খেলেছে। সুকান্তবাবু বলেন, আমরা মানুষের ভোটে জিতি মানুষের কাজ করার জন্য, মানুষের রক্ত নিয়ে খেলার জন্য?
বিজেপি নেতা জানান, “আমরা সার্বিকভাবে এই পরিবারকে সহায়তা করব। রাজনৈতিক জায়গা থেকে সরে এসে আমরা সেটা করব। ওনারা বিজেপি করেন না, তবু মানবিকতার খাতিরে আমরা এটা করব।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায় কালীগঞ্জের সাথে একইসঙ্গে ভারতবর্ষের অন্যান্য এলাকাতে উপনির্বাচন হয়েছে, কোথাও বিজেপি হেরেছে, কোথাও জিতেছে। কিন্তু কোথাও বিজেপির কেউ কংগ্রেস বা আপকে মারেনি, কিংবা আপ বিজেপি বা কংগ্রেসের কাউকে মারেনি। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে এই সংস্কৃতি কেন থাকবে?
তিনি আরো জানান, তামান্নার মা বলছেন যে,
“এই ধরনের পরিবারগুলি তাদের বাচ্চাদের বয়স ৬-৭ বছর হয়ে গেলেই হাতে অস্ত্র, সকেট বোমা তুলে দেয়।” বিজেপি নেতা প্রশ্ন করেছেন, কী হবে এদের ? এটাই কি ভবিষ্যত এদের? এদেরই মধ্যে তো কারো ডাক্তার, বিজ্ঞানী, অফিসার হওয়ার কথা। কিন্তু এভাবে চললে তো আগামী দিনে এরা কেউ সুনাগরিক হতে পারবে না। সারা জীবনের গুন্ডামী করে যাবে।