২০ বছর পুরোনো গাড়ি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশ না করতে পারলেই বাতিল

আমাদের ভারত, ১ ফেব্রুয়ারি:২০ বছরের পুরনো ব্যক্তিগত গাড়ি যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাস করতে না পারে তাহলে সেটি সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে। ২০২১-২২ অর্থ বর্ষের বাজেট পেশ করতে গিয়ে এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়মটি কুড়ি বছরের জন্য হলেও বাণিজ্যিক গাড়ি ক্ষেত্রে তা ১৫ বছর।

এবারের বাজেটে ভলেন্টেয়ারি ভেহিকেল স্ক্র্যাপিং পলিসি বা স্বেচ্ছায় গাড়ি বাতিল নীতি ঘোষণা ষ করা হয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী ব্যক্তিগত গাড়ির ফিটনেস টেস্ট হবে কুড়ি বছর পরে। বাণিজ্যিক গাড়ির ফিটনেস টেস্ট হবে ১৫ বছর পরে। এর ফলে ভারতের তেল আমদানির খরচ কমবে।

গত সপ্তাহে পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়করি ঘোষণা করেন, ১ এপ্রিল থেকে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে ১৫ বছরের বেশি বয়সী গাড়ি বাতিল করা হবে। তারজন্য খুব তাড়াতাড়ি নোটিশ দেওয়া হবে। ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি বাতিল করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই অনুমোদন করেছে সরকার।

৩০১৯ সালের ২৬ জুলাই সরকার প্রস্তাব দেয় ১৫ বছরের পুরনো সব গাড়ি বাতিল করা হোক। তার জন্য প্রয়োজন হলে মোটরসাইকেল আইন সংশোধন করা হতে পারে। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি যাতে আরো বেশি বেশি করে ব্যবহার করা যায় সেই জন্যেই পুরনো গাড়ি বাতিল করতে চায় সরকার।

গত ১৫ জানুয়ারি গড়কড়ি বলেছিলেন, পুরনো গাড়ি বাতিল করার জন্য আমরা প্রস্তাব পেশ করেছি। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে ভারত হবে অটোমোবাইল হাব। এরফলে গাড়ির দাম কমবে। পরিবহনমন্ত্রী আরো বলেছিলেন বাতিল গাড়ির যন্ত্রাংশ রিসাইকেল করে কাজে লাগানো হবে। তাহলেই নতুন গাড়ির দাম কমবে। বর্তমানে অটোমোবাইল শিল্পের টার্নওভার বছরের ৪.৫ লক্ষ্য কোটি টাকা। তারমধ্যে রপ্তানি হয় ১.৪৫ লক্ষ্য কোটি টাকার গাড়ি। পুরনো গাড়ি বাতিল করা হলে অটোমোবাইল শিল্প চাঙ্গা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *