আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৯ আগস্ট: জেলা শাসকের ডাকা বৈঠকে গরহাজির থাকল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তা, সাংসদ, প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিকরা। আলোচনার বিষয়বস্তু নবান্নে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতির বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হবে নাবান্নে। বিশ্বভারতীর মেলার মাঠে প্রাচীর ঘেরা নিয়ে সোমবার ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে শান্তিনিকেতনে। পেলোডার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বিশ্বভারতীর গেট। লুঠপাট করা হয়েছে প্রাচীর নির্মাণের যন্ত্রাংশ, সিমেন্ট। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প। এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের নির্দেশ দেন। সেই মতো বুধবার বোলপুর মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিকরা। সন্ধ্যে পর্যন্ত চলে বৈঠক।
বৈঠক শেষে জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, “বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাড়া সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন জন মত দিয়েছেন। তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তা নবান্নে পাঠানো হবে। পরবর্তীকালে বৈঠক ডাকা হলে বিশ্বভারতীকে আগে থেকে জানানো হবে”।
এদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার যে অভিযোগ তুলেছিল তা নাসাৎ করেছেন পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। তিনি বলেন, “পুলিশ সক্রিয় ছিল বলেই আট জনকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের পথে চলবে”।
এদিকে প্রাচীর তোলার প্রতিবাদে এদিন বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের সামনে গান গেয়ে বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তনিরা। প্রাক্তনী শ্যামল চন্দ্র বলেন, “শান্তিদেব ঘোষ ছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। তিনি প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার বাড়ির কাছে ১০ ফুট উঁচু প্রাচীর তুলে দিয়েছে। এরই আমরা প্রতিবাদ জানালাম। তবে তাণ্ডবেরও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।