পিন্টু কুন্ডু, আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৬
মার্চ: পাচারের আগেই প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার বিএসএফের। চাঞ্চল্য বালুরঘাটের নকশা গ্রামে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ওই প্রাচীন ব্যাসল্ট পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি বিএসএফ।
জানাগেছে, বালুরঘাট শহর লাগোয়া ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম চকরাম। বর্ডার আউট পোস্টে প্রহারারত রয়েছে ১৩৭ নম্বর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। শনিবার একটি গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ জানতে পারে, চকরাম এলাকার নকশা গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে প্রাচীন মূর্তি লুকিয়ে রাখা আছে। যার পরেই সেই এলাকায় হানা দেয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর ঘন জঙ্গলে ঢাকা বাঁশের ঝোপের মধ্যে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়া ওই ব্যাসল্ট পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার হয়। এরপরেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুপারিনটেনডিং, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া রায়গঞ্জ সার্কেল (মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ) আর্কিওলজিস্টের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। যাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২.৫ ফুট উচ্চতার বিষ্ণু মূর্তিটির প্রস্থ ৩৩.৫৫ সেন্টিমিটার। যার ওজন ৩১.৯৫৫ কেজি এবং আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
বিএসএফের তরফে আরো জানানো হয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিষ্ণু মূর্তিটি কালো ব্যাসল্ট পাথরের তৈরি এবং এটি নবম-থেকে দশম শতাব্দীর। সেই মূর্তিটি যে পাল যুগের তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কালোবাজারে ওই মূর্তিটির মূল্য রয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা বলেও জানানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া প্রাচীন মূর্তিটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ, মুর্শিদাবাদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে চকরাম সীমান্তের ১৩৭ নম্বর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সুত্রে জানা গিয়েছে।