আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৭ সেপ্টেম্বর: লকডাউনে বন্ধ দোকানপাট, যান চলাচল। এমনকি সাধারণ মানুষেরও বাড়ির বাইরে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বালি বোঝাই লরি কিংবা ট্রাক্টর চলেছে অবাধেই। কোথাও গ্রামবাসীরা বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কোথাও আবার বালি ভর্তি ডাম্পারের চাকা ফেটে জখম হয়েছেন কর্তব্যরত হোমগার্ড।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম লকডাউনে বন্ধ বীরভূমের দোকানপাট। রাস্তায় তেমন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে পথ চলতি মানুষকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে আটকেও রাখা হয়েছে। কিন্তু বালি বোঝাই লরি কিংবা ট্রাক্টর যাতায়াতে নেই কোন বাধা। ফলে সকাল থেকে অবাধে চলেছে বালি বোঝাই লরি থেকে পাথর। সকালে রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামের হাটতলায় বালি বোঝাই লরি ও ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, দোকান বন্ধ থাকলে বালির লরি চলাচল করছে কিভাবে? এনিয়ে গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বালির গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
গ্রামের বাসিন্দা রাজা শেখ, ওয়াজেদ আলিরা বলেন, “লকডাউনে কোনও শ্রমিক কাজ করতে গেলে ভিলেজ পুলিশ মারধর করছে। কিন্তু বালি বোঝাই লরি ও ট্রাক্টর চলছে অবাধে। দিনে রাতে বালি বোঝাই অবৈধ গাড়ি চলার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে। বাচ্চা ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বের হতে পারছে না। কিছু বলতে গেলে সমাজবিরোধী দিয়ে মারধর করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা বালি বোঝাই ট্রাক্টর ও লরি আটকে রেখেছি”।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “লকডাউনে সব বন্ধ। চালু শুধু বালি মাফিয়াদের সক্রিয়তা, দৌরাত্ম্য। লকডাউনের মধ্যেই শাসক দলের সর্বস্তরের নেতাদের মদতেই পাচার হচ্ছে শয়ে শয়ে লরি বোঝাই বালি। এরই প্রতিবাদে নারায়ণপুর গ্রামের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের দুবৃর্ত্তায়ণ মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্যও মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। এর বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। সেক্ষেত্রে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকবে”।
এদিকে এদিন বেলার দিকে নলহাটির কাঁটাগড়িয়া মোড়ের কাছে বালি বোঝাই ডাম্পারের চাকা ফেটে জখম হন এক হোমগার্ড। প্রেমচাঁদ মাল নামে ওই হোমগার্ডকে লোহাপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এনিয়ে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ।

