পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ নভেম্বর: জীর্ণ পাতার বিদায়ের মুহূর্তে যেমন নতুন পাতার নীরব আগমন ঘটে, তেমনই এক অনাড়ম্বর শিশু দিবসে বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন বেছে নিলো নতুন ভবিষ্যতের বীজ রোপণের পথ। বিদ্যালয়ের এক অনন্য সাংস্কৃতিক পথপ্রদর্শকের অকাল প্রস্থান পুরো প্রতিষ্ঠানকে গভীর শোকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সেই কারণেই এ বছর বাতিল হয় প্রথাগত শিশু দিবসের উৎসব। তবে যাত্রা থেমে নেই—এই বিশ্বাস থেকেই বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেয় ৩,০০০টি সবুজ চারাগাছ, নতুন জীবনের প্রতীক হয়ে ওঠার উদ্দেশ্যে।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা চন্দা মজুমদার জানান, “একটি যন্ত্রণাদায়ক শূন্যতাকে সামনে নিয়ে আমরা দাঁড়িয়েছি, কিন্তু থেমে থাকা আমাদের পথ নয়। এই চারাগাছগুলোর মধ্যে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, পরিবেশবান্ধব মনোভাব এবং জীবনের ধারাবাহিকতাকে লালন করতে চাই। প্রতিটি পরিবারে পৌঁছে দেওয়া এই সবুজ উপহার শুধু গাছ নয়—এটি আমাদের ভেতরের অদৃশ্য শক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতীক।”

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনাগুলোর পথেই এগিয়ে—তাই এই চারাগাছ বিতরণ শুধুমাত্র একটি কর্মসূচি নয়, বরং এটি এ বছরের শিশুদিবসের কার্যক্রমের সবচেয়ে অর্থবহ অংশ। রোদ, জল আর যত্নের সঙ্গে সঙ্গে যেমন একটি চারা বড় হয়ে ওঠে, তেমনই বড় হবে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ সচেতনতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ। এই নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস, এই সবুজ উদ্যোগই এবছরের শিশু দিবসকে এক ভিন্ন, অর্থবহ রূপ দিয়েছে।

