সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৩ মে: দলীয় কার্যালয়ে গান বাজিয়ে দুই যুব মহিলা কর্মীর সঙ্গে সিপিএমের যুব সংগঠনের দুই নেতা কোমর দুলিয়ে নাচ করছেন। তাও আবার দলীয় কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন লেখা ফ্লেক্সের সামনে ও শহিদ যুব নেতা মইদুল মিদ্যার কাট আউটের পাশে। সামাজিক মাধ্যমে এমন ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সিপিএমের যুব সংগঠনের কার্যালয়ে চটুল গানের তালে কোমর দুলিয়ে দুই মহিলা যুব কর্মীর সঙ্গে নাচ করছেন ডিওয়াইএফআই- এর বাঁকুড়া জেলা নেতা অভীক মিশ্র ও শুভেন্দু মণ্ডল। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের সর্বত্র এনিয়ে চর্চা হতে শোনা যায়। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা সিপিআইএম।
অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ে নাচ নিয়ে অভীক মিশ্রর বক্তব্য, তদের সংগঠনে নাচ- গান নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তা হয়েই থাকে। তবে চটুল গানের সঙ্গে নাচের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অভীকবাবু জানান যে, ভিডিয়োটি কখনকার তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। এটা সাম্প্রতিক কালের ঘটনা নয়, তাদের কার্যালয়ে এরকম চটুল গান চলে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে গানটি যোগ করা ও সেটি প্রচার করা হয়েছে। কে বা কারা এটা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হোক। বামপন্থীদের নানাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্থার চেষ্টা হচ্ছে। এইসব ভিডিওকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই ভাইরাল করা হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকৃত করা হয়েছে ভিডিয়োটিকে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
এদিকে ভিডিয়োটি নিয়ে সিপিএমের ওই যুব সংগঠনকে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েনি যুব তৃণমূল। যুব তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি রাজীব দে বলেন, সামাজিক মাধ্যমে সিপিএমের পার্টি অফিসে উদ্দাম নৃত্য হতে দেখা যাচ্ছে। এটা সিপিএমের সংস্কৃতি। ডিওয়াইএফআই- এর কালচার। একটা পার্টি অফিসে এই উদ্দাম নাচের ধিক্কার জানাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তবে ডিওয়াইএফআইয়ের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক সঞ্জয় মান্ডি বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ওরা তো চুরি করেনি। খাটের তলায় টাকাও লুকিয়ে রাখেনি। সে দিন কার্যালয়ের উদ্বোধন ছিল। সেই অনুষ্ঠানে কর্মীরা একটু নেচেছেন। সারারাত ধরেও নাচ করেনি। এতে আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে চটুল গানের বিষয়টি পুরো মিথ্যা। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।