আমাদের ভারত, ১৯ মার্চ: দেশের জনগণকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা ত্যাগ করে নিজস্ব পরিচয়ে গর্ব করার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে শিক্ষায় ম্যাকলে পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, এটি দেশের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে একটি বিদেশী ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে এবং শিক্ষাকে অভিজাতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে। তাই সেই শিক্ষা পদ্ধতি থেকে ভারতীয়দের বেরিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রচলন ও শিক্ষায় গৈরিকিকরণের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, শিক্ষায় গৈরিকিকরণ করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। শিক্ষায় গৈরিকিকরণের প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি বলেন “আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে আমরা শিক্ষায় গেরুয়া রং লাগাচ্ছি। কিন্তু গেরুয়া রং এর সঙ্গে সমস্যাটা কী? সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ অর্থাৎ সবাই খুশি হোক এবং বাসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটা পরিবার। এই দর্শনগুলির উল্লেখ রয়েছে আমাদের প্রাচীন গ্রন্থে। এই দর্শন আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আজও পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।”
এদিন উপরাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণের সময় মাতৃভাষা ব্যবহারে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেছেন, আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি যেদিন নিজ নিজ রাজ্যের মাতৃভাষায় সমস্ত গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হবে। আপনার মাতৃভাষা আপনার সবল দৃষ্টিশক্তির মতো। যেখানে একটি বিদেশী ভাষা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান আপনার চশমার মতো। শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয়করণ ভারতের নতুন শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দু।