ব্যান করা হোক নিজামউদ্দিন মারকাজ ও তাবলিগি জামাত, দাবি করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

আমাদের ভারত, ৫ এপ্রিল: “তাবলিগি জামাত এবং নিজামুদ্দিন মারকাজ যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তার জন্য সারা দেশ আজ গভীর সংকটে। তাবলিগি জামাত একটি ইসলামিক কট্টরপন্থী সংগঠন ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক তাই জামাতের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক” এই দাবিতে সোচ্চার হলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা ডঃ সুরেন্দ্র জৈন।

সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ” সমস্ত ভারতীয়দের জীবন সংকটে ফেলার পেছনে দায়ী তাবলিগি জামাতের সমস্ত আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলিকে খুঁজে বের করে তাদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং কার্যালয় গুলিকে অবিলম্বে সিজ করা উচিত।’ উনি বলেন, লক ডাউনে ৮ পরে সম্পূর্ণ দেশ খানিকটা স্বস্তিতে ছিল কারণ তখনও পর্যন্ত দেশে করানো আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২.৮ শতাংশ । কিন্তু তখনই ৩০ মার্চ নিজামুদ্দিন মারকাজের এক ভয়ংকর বিস্ফোরণ হল। সেখান থেকে ২৩০০-র বেশি তাবলিগিদের বার করা হল। যাদের মধ্যে ৫০০ জন করোনাই আক্রান্ত এবং ১৮০০ জনকে কোয়ান্টিন করতে হলো‌। আজ ৯ হাজারেরও বেশি তাবলিগি গোটা দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আর দেখা গেল ৩১ মার্চ করানো আক্রান্তের শতাংশ হঠাৎই বেড়ে ৪৩.০২ শতাংশ হয়ে গেছে। এক লহমায় সম্পূর্ণ দেশ সংকটে চলে এল’।

পরিষদের নেতা অভিযোগ করেন, মসজিদ-মাদ্রাসায় লুকিয়ে থাকা দেশি-বিদেশি সংক্রমিত মৌলবিদের ধরপাকড় শুরু হয়। এদের কারণেই গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। এছাড়াও ১৪-১৫ ই মার্চ মুম্বাইতে
ইজতেমায় দুই থেকে তিন লাখের জমায়েত হবার কথা ছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরোধের কারণে সেটি আটকে যায় । যদি সেটা হতো তাহলে পুরো দেশ এবং মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আজ কি হতো তা কল্পনার অতীত।

ডঃ জৈন বলেন, নিজেদের এই অপরাধের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই ওদের। উল্টে সংক্রমিত মৌলবিরা এগুলোকে লুকানোর চেষ্টা করে চলেছেন। এদের জন্য পুলিশকর্মী স্বাস্থ্যকর্মীদের দেশের একাধিক বস্তিতে দৌড়তে হচ্ছে। এমনকি এদেরই প্রাণ বাঁচাতে যাওয়া ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর হামলা করানো হচ্ছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা তাবলিগিরা নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করছেন। চিকিৎসকদের ওপর থুতু ফেলছে। জানা গেছে নারুলার কোয়ারিন্টিন সেন্টারে পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত সেনাকে ডাকতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু নিজামুদ্দিন এই নয় সারাদেশে মৌলবিরা মুসলিম সমাজকে উত্ত্যক্ত করার মত ভাষণ দিয়ে গেছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের এক মৌলবি আব্বাস সিদ্দিকী তো বলেছেন, আল্লাহ এমন একটি ভাইরাস পাঠাক যাতে ৫০ কোটি হিন্দুর মৃত্যু হয়”।

পরিষদের নেতা বলেন,করোনা আক্রান্তদের অর্ধেক বেশি সংখ্যা হল তাবলিগি বা মৌলবি। গোটা দেশ তাবলিগি এবং তাদের প্রভাবিত কট্টরপন্থীদের ব্যবহার দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছেন। দেখে মনে হচ্ছে করোনা সংক্রমণকে তারা হাতিয়ার হিসেবে প্রয়োগ করেছেন। নিজেদেরকে একেকটা আত্মঘাতী বোমা হিসেবে তৈরি করেছেন তারা।

ডঃ জৈন বলেন, ১৯২৬ সালের নিজামুদ্দিনের থেকে তাবলিগির পথ চলা শুরু। আজ বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশে 8 কোটি মানুষকে নিজেদের কুৎসিত মানসিকতায় সংক্রমিত করেছে তারা। নিজামউদ্দিন থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে লাখ লাখ তাবলিগি সম্পূর্ণ বিশ্বে কট্টরপন্থার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিশ্বের অধিকাংশ সন্ত্রাসবাদি সংগঠন যারা শুরু করেছেন তারা সবাই তাবলিগির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা আমেরিকার ট্রেড সেন্টারের হত্যা হোক বা গোধরার ৫৯ জন হিন্দুকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *