আমাদের ভারত, ১৬ অক্টোবর: বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষায় ভারত–সহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হিন্দুদের জীবন, সম্পত্তি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ বাড়াবার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোরও সমালোচনা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের অভিযোগ, হিন্দুদের মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্ন উঠলেই এরা চুপ হয়ে যায়।
দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরের ওপর আক্রমণ এবং মূর্তি ভাঙ্গচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পাশাপাশি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্ডে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা অঞ্চলে আক্রমণকারীরা রাতের অন্ধকারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চুপিসারে একটি দুর্গাপুজো প্যান্ডেলের বাইরে অবস্থিত হনুমানজীর মূর্তির ওপর একটি কোরান রেখে দেয়। সেই ঘটনার ভিত্তিতে অসংখ্য পূজা মন্ডপ ও মূর্তি ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি হিংস্র আক্রমণ চালায় তারা। এই হিংস্র হামলা এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যাযজ্ঞ এখনো চলছে। হিন্দু মন্দির ও বিভিন্ন হিন্দু এলাকার ওপর এই আক্রমণে অন্ততপক্ষে ২ জন হিন্দুকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে এবং পাঁচ শতাধিক হিন্দু গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, কুমিল্লা ছাড়াও বাংলাদেশের নানা জায়গায় হিন্দুদের পূজার মূর্তি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। স্থানীয় মৌলবাদী নেতৃত্ব হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ডাক দেওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাদের আবেদন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, জেহাদীদের ওপর লাগাম টানা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের ক্ষতিপূরণের সুব্যবস্থা করা।”
পরান্ডেজী ভারত সরকার এবং আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। হিন্দুদের জীবন, সম্পত্তি ও পারমার্থিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতির ভাবনা ও বিশ্বাসের সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে অনুরাধ করেছেন। এজন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করেছেন।
হিন্দুদের ওপর এই ন্যাক্কারজনক আক্রমণের ঘটনায় জাতিসংঘ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর চুপ থাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “হিন্দুদের মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্ন উঠলেই তারা কেন নিশ্চুপ হয়ে যায়? বাংলাদেশ সরকারের উচিত জেহাদীদের গ্রেপ্তার করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে এসে এই জাতীয় ঘটনা যাতে প্রশ্রয় না পায় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা।