আমাদের ভারত, ৩১ আগস্ট: কী ভাবে অনলাইনে ক্লাস নিতে হবে? কিংবা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্কুল খুললে ক্লাসরুমে কীভাবে ক্লাস হবে? তার জন্য এবার ভার্চুয়ালি শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করতে শুরু করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। দেশের মধ্যে এই রাজ্যে প্রথম শিক্ষকদের ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ও ভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজ্যজুড়ে স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলো তার জন্য প্রশিক্ষণ দরকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। আর সেই জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, সিলেবাস কমিটি এবং সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে চলতি সপ্তাহ থেকে ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
প্রথমে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে ক্লাস নেওয়া উচিত তার প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, সাধারণত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ জেলায় গিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু অনলাইন ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা পিছিয়ে পড়বে এটা হতে পারে না। তাই ভার্চুয়ালি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী পরিস্থিতিতে যখন স্কুল খুলবে তখন কিভাবে তারা ক্লাস নেবেন তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে রাজ্যে কবে থেকে স্কুল খুলবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিস্থিতি যদি ঠিক হয় তাহলে শিক্ষক দিবসের পর থেকে স্কুল খোলার চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে। তবে তার হবে একদিন অন্তর।
টানা চার মাসেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্লাস রুমের পঠনপাঠন থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে রাজ্য সরকারি এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।অথচ বেসরকারি স্কুল গুলির বেশিরভাগই অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সরকারি স্কুলের ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বিষয়ে অনেক শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনলাইন ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবুও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্য কি কি বিষয় মাথায় রেখে চলতে হবে তার জন্যই এবার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। একইসঙ্গে ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন অধ্যায় বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে তাও ভার্চুয়ালি শিক্ষকদের বলা হচ্ছে।
আপাতত নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্কুল খুললে কিভাবে ক্লাস রুমে ক্লাস করাতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি জেলা থেকে ৪ জন করে শিক্ষক নিয়ে প্রশিক্ষণ পর্ব চলছে। প্রত্যেকটি বিষয় এবং প্রত্যেকটি মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জেলাব্যাপী চারজন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা জেলার বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষিত করবেন। একই সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি টেলিফোনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে বলে স্কুল শিক্ষা দপ্তর বলেও সূত্রে খবর।

