আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২০ আগস্ট: টানা বৃষ্টি ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে বুধবার রাত থেকেই ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা জুড়ে। এরফলে জেলার বিভিন্ন নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অমাবস্যার ভরা কোটালের ফলেও নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এরফলে মুড়ি গঙ্গা, মণি নদী ও বেশ কিছু জায়গায় বঙ্গোপসাগরের বাঁধ ভেঙ্গে কোথাও বা বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে।
সব থেকে বেশি জল ঢুকেছে নামখানা ব্লকে। সেখানে কৃষ্ণনগর প্রথম ঘেরি, নরহরিপুর, ঘোরামারা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে সাগরের বঙ্কিম নগর, কচুবেরিয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গেছে। কাকদ্বীপের শিবপুর এলাকাও বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে। এসবের পাশাপাশি রায়দীঘির মণি নদীর জলস্ফীতিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে রায়দিঘীতে। অনবরত বর্ষায় বেড়েছে জলের স্তর। তার উপরে আজ সকালের কোটালে হু হু করে মণি নদীর জল রায়দিঘী বাজারে ঢুকে পড়ে। সমগ্র রায়দিঘী বাজার এই মুহূর্তে জলের তলায়। জলের তলায় চলে গিয়েছে রায়দিঘীর ৮টি গ্রাম। জলে ডুবে গিয়েছে বাজারের দোকান, মণি ব্রিজ সংলগ্ন বাড়িঘর। ক্ষতি হয়েছে ধানগোলার।
ছবি: ডুবে গেছে বাজার।
করোনা ও আমফান কেড়ে নিয়েছে সর্বস্ব। দুর্ভোগ কাটিয়ে আবারও নতুন করে যখন বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলেন সাগরবাসী, ঠিক তখন নতুন বিপদের সম্মুখে তাদের দাঁড়াতে হল। বাঁধ ভেঙ্গে নদীর জল প্লাবিত করছে সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় জল ঢুকে পড়ে। একাধিকবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে এই নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করেন। কিন্তু, আবারো নদী বাঁধ ভেঙ্গে কচুবেড়িয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।