অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি:
সন্দেশখালি কাণ্ডে কর্মরত সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে সাংবাদিকদের বিভিন্ন মহল।
সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় লিখিত বার্তা দিয়েছেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ডঃ স্নেহাশিস সুর ও সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক। তাঁরা এই গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ধৃতের মুক্তি দাবি করেছেন। তাঁদের আবেদন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিকের গ্রেফতারে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রেস ক্লাব।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় প্রেস ক্লাব কলকাতার সামনে থেকে রাজভবন অবধি সাংবাদিকদের একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে রওনা হওয়া এই মিছিলে প্রিন্ট, রেডিও, টিভি চ্যানেল, ওয়েব, ইউটিউব এর প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সন্দেশখালিতে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিককে কর্মরত অবস্থায় গ্ৰেফতারের প্রতিবাদে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টসের (ডব্লুবিইউজে) উদ্বেগ প্রকাশ ও তীব্র ধিক্বার জানিয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য সরকারকে সচেতন হতে হবে। এই মর্মে ডব্লুবিইউজে’র পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ পত্র প্রশাসনকে পাঠানো হচ্ছে। জানানো হচ্ছে, দ্রুত মুক্তির দাবি।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে সংবাদ কর্মীদের ওপর ঘন ঘন পুলিশি অত্যাচরের অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে এনইউজে’র অফিসে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টসের (এনইউজে) সভাপতি রাসবিহারী। দিল্লি পত্রকার সংঘের প্রতিনিধিরাও সভায় হাজির হন। ওই সভায় অংশ নিয়েছেন ডব্লুবিইউজে-এর রাজ্য সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী।
সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিনা নথিতে গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করলে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল গোটা রাজ্যে।