আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর: সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান খোলার প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে কাঁথির ভাজাচাউলি অগ্নিগর্ভ।
মদের দোকান ভাঙ্গচুর। এলাকায় পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ।
কাঁথি মহকুমার মারিশদা থানার অন্তর্গত দেবেন্দ্র ও ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে গণেশ রেষ্টুরেন্ট নামে একটি সরকারি লাইসেন্স পাওয়া মদের দোকান খোলে কিছুদিন আগে। এই মদের দোকান খোলার বিরুদ্ধে শুরুর দিন থেকে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। এই দোকান খোলায় এলাকায় নানা অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে বিশেষ করে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হয় গ্রামের মানুষ। মদ বিরোধী নাগরিক কমিটি গঠন করে দোকান সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। আজ মারিশদা থানার ওসি এবং মারিশদা ৩ নং ব্লকের বিডিওর কাছে ডেপুটেশনের কর্মসূচি ছিল মদ বিরোধী নাগরিক কমিটির৷ এই কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য মদ বিরোধী নাগরিক কমিটির সদস্যরা দুপুরের দিকে রওনা দেয়। ঠিক এই সময় অতর্কিতভাবে তাদের উপর আক্রমণ চালায় মদের দোকানের মালিক আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আন্দোলনকারীদের মারধর এবং মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে তারা৷ মোবাইল ও মোটরবাইক ছিনতাই করে নেয়। জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয় এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এরপর পাঁচ থেকে সাতটি গ্রামের গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মদ দোকানের উপর হামলা চালায়৷ এরফলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা মদ দোকানের উপর চড়াও হয়ে ভাঙ্গচুর চালায়৷ এরকম পরিস্থিতিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মহিলা ও অন্যান্য গ্রামবাসীরা।
পুরো ঘটনার দায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, মদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী মহিলাদের ওপর আক্রমণ করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ এই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। মদ বিক্রি ও তার জেরে গন্ডগোলের দায় তৃণমূল কংগ্রেসের নয়। প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা আছে।