সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১ মার্চ: “সেইভাবে উন্নয়ন তো নয়ই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে।” এই ভাষাতেই পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনকে কাছে পেয়ে চাপা ক্ষোভ উগরে দিলেন পুরুলিয়ার প্রতিনিধিরা।
আজ পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন একটি সংবেদন শিবির পরিচালনা করে। সেখানে পুরুলিয়া জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও পার্সী প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কমিশনের চেয়ারপার্সন ড: মমতাজ সংঘমিতাকে সরাসরি সেই কথা বলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে সরকারি কর্মচারি মহম্মদ আব্দুল রাকিব বলেন, “এটা বলার অপেক্ষা রাখে না সংখ্যালঘু ভোট, ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত হয়ে যায়। তার পর ভোট মিটলেই উন্নয়ন, প্রতিশ্রুতি পূরণ আর হয় না।”
এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা ও সাহায্য থেকে উপেক্ষিত করারও অভিযোগ উঠল। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে খানিকটা থিতু হয়ে সামাল দিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। এদিন সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার একেবারে কম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসল কারণ প্রকাশ্যে এল। সরকারি হাসপাতালে প্রসবের সময় মহিলা চিকিৎসক না থাকায় বাড়িতেই দাইমা’দের সাহায্যে প্রসব করেন বলে সম্প্রদায় থেকে জানানো হয়। সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের দাবি তোলা হয়।
পুরুলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সদরুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “এটা বাস্তব দেখা গিয়েছে।” কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “এটা ভুল ধারণা যে ভোটের আগে এই বৈঠক করা হচ্ছে এবং সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক। কমিশন বিভিন্ন অভাব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছে দেয়।”