আমাদের ভারত,১৯ ডিসেম্বর:সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কিছুটা চাপ কমলো ভারতের উপর থেকে। এই আইন প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেন, ভারতের গণতন্ত্র সম্মান করার মত। কারণ সেখানে বিরুদ্ধ মত আন্দোলন করতে পারে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের প্রতিবাদী আন্দোলন প্রসঙ্গেই এমনই মন্তব্য করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন।
মার্কিন সচিব আরও বলেন, ‘যে কোনো বিল নিয়ে ভারতের সংসদে বিশদে আলোচনা হয়। সেটা লক্ষণীয় বিষয়।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মার্কিন সচিবের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার হল যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল যেহেতু ভারতের সংসদে বিস্তারিত আলোচনার পর পাস হয়েছে তাই তাতে তাদের তেমন কিছু বলার নেই।
ওয়াশিংটনে বিদেশমন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা চলছে সেখানে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী জয় শঙ্কর উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতে অশান্তি প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে মাইক পম্পেও ভারতের প্রশংসা করে বলেন, “ভারতের গণতন্ত্র সম্মান করার মত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার চেষ্টা আমরা সবাই করি কিন্তু যেভাবে ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রকাশ্যে আন্দোলন হয় সেটা ভারতের গণতন্ত্রের সাফল্য। এখানে বিরুদ্ধ মতের প্রশ্নের অধিকার রয়েছে।এখানে প্রতিবাদীরা নিজেদের কথা বলতে পারে”। এই প্রসঙ্গে একই মত দিয়েছে ব্রিটেন
যদিও আগে নাগরিকত্ব ইস্যুতে মার্কিন মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল “সংশোধিত আইনে যা ভারতে ঘটছে তার দিকে আমরা নজর রেখেছি”। কিন্তু পরে কিছুটা সুর নরম করার ইঙ্গিত দিল মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী আমেরিকাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, বিতর্কটির দিকে ভালোভাবে নজর রাখলে বুঝতে পারবেন যে এই আইনের একটাই উদ্দেশ্য, সেটি হলো ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া।