আমাদের ভারত, ২৮ জুলাই: মঙ্গলবার সংসদে অপারেশন সিঁদুর আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি বিরোধীদের পাশাপাশি সংঘর্ষ বিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকে নস্যাৎ করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন সেই রাতের ঘটনাক্রম।
মোদী বলেন, ৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমন উদ্দেশ্যই থেকে থাকে তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে, আমরা বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।
প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের কাতর অনুরোধেই যুদ্ধ থামাতে রাজি হয় ভারত। প্রবল মার খেয়ে ইসলামাবাদ ফোন করে যুদ্ধ থামানোর জন্য অনুরোধ করেছিল। এর মধ্যে তৃতীয় পক্ষের বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব নেই।
পাকিস্তানের তরফে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি এসেছে বলেও জানিয়েছেন আজ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকাল, ভারত যা করার তাই করেছিল। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি।
এমন হামলা চালিয়েছি যে কেউ কখনো ভাবতেও পারেনি। ভারতীয় সেনাকে প্রশংসায় ভরিয়ে মোদী বলেন, ১০০% সফল সেনা।যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেভাবেই হামলা করা হয়েছে। এমন এমন জায়গায় হামলা হয়েছে যেখানে আগে কেউ ঢোকার কল্পনা পর্যন্ত করেনি। জঙ্গি আক্রমণ আগেও হয়েছে দেশে, সেই সময় জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতো, কারণ জানতো পাল্টা আক্রমণ হবে না, বরং তারা পরবর্তী হামলার প্রস্তুতি নিত। আর এখন জঙ্গিরা ঠিকমতো ঘুমোতে পারেনা। কারণ, জানে ভারত আসবে পালটা মেরে চলে যাবে।
মঙ্গলবার বিকেলে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেন, সংসদে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, পেহেলগাঁও হামলার পর তিনি সেনাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে কিভাবে জবাব দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিক। কখন কোথায় কিভাবে জবাব দেওয়া হবে তা সেনাই ঠিক করুক। ৭ তারিখ ভারত জবাব দিয়েছিল। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। এভাবে আজ আক্রমণাত্মক সুরে মোদী সরব হলেন লোকসভায়।